শরীর সুস্থ রাখার জন্য সোডিয়াম বা লবণের
প্রয়োজনীয়তা আছে। কারণ মাংসপেশীর গঠন, স্নায়ুর কার্যক্ষমতা, শরীরের তরলের
ভারসাম্য বজায় রাখার পদ্ধতি এবং শরীরের ভারসাম্য রাখার জন্য সোডিয়াম খুবই
দরকারী উপাদান।
তবে যদি
অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ শরীরে প্রবেশ করে তাহলে তা খারাপ প্রতিক্রিয়া তৈরি
করে। যা মস্তিষ্ক, কিডনি , আর্থাইটিস এবং হৃৎপিন্ডের ওপর প্রভাব ফেলে।
এমনকী শরীরে লবণের ভারসাম্য ঠিকমতো না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
গোটা
বিশ্বে দক্ষিন আফ্রিকানরা সবচেয়ে বেশি লবণ খায়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
মতে, দিনে ৫ গ্রাম লবণ খাওয়া উচিত। কিন্তু দক্ষিন আফ্রিকানরা দিনে গড়ে ৮
দশমিক ৫ গ্রাম লবণ গ্রহন করে। এ কারণে ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ হৃদরোগ,
স্ট্রোক বা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
বিশেষজ্ঞদের
মতে, অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ করলে হৃদরোগ সম্পর্কিত জটিলতা
বাড়ে।যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা 'দ্য বিএমজি' থেকে প্রকাশিত
একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার স্ট্রোক ও হৃদরোগের
ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
যুক্তরাজ্যের
'দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশন,হেলথ এন্ড এজিং'এর তথ্য অনুযায়ী,বেশি
সোডিয়ামসমৃদ্ধ খাবার উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।এছাড়া এ ধরনের
খাবার বয়স্কদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।
অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার খেলে শরীরে পানি আসে।এতে হাত-পা ফুলে যেতে পারে।
অনেকে
খাবারের স্বাদ বাড়াতে বাড়তি লবণ যোগ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের
প্রবণতা উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যা কিডনির জন্যও ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
অনেক প্যাকেটজাত খাবারে অতিরিক্ত লবণ দেয়া থাকে। যা ভবিষ্যতে পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সূত্র : হেলথ টুয়েন্টিফোর
0 comments: