যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে,
যেসব নারী গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন পরবর্তীতে তাদের হৃদরোগে
আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।এছাড়া খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া কিংবা
ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও তাদের মধ্যে বেশি।
গর্ভাবস্থায়
অনেকের প্রিক্লেমশিয়া হয় এবং উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়। আগের অনেক গবেষণায়
দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে পরবর্তী জীবনে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের
ঝুঁকি বেড়ে যায়।তবে নতুন গবেষনায় স্পষ্ট হয়েছে, এ ধরনের সমস্যায় কোন ধরনের
নারীরা ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
গবেষণার
জন্য গবেষক দল ৫৯ হাজার গর্ভবতী নারীর তথ্য জোগাড় করেন যারা ১৯৬৪ এবং ২০০৮
নালে প্রথম শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এদের মধ্যে ২ দশমিক ৯ জন গর্ভাবস্থায় উচ্চ
রক্তচাপ এবং ৬ দশমিক ৩ জন প্রিক্লেমশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
গবেষণায়
দেখা গেছে, যেসব নারীর গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মতো সাধারণ রক্তচাপ দেখা
গেছে তাদের তুলনায় যাদের গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় তাদের ভবিষ্যতে
আবারও উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি।অন্যদিকে গর্ভাবস্থায়
প্রিক্লেমশিয়ায় ভূগলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
গবেষকরা
বলছেন, যাদের গর্ভাবস্থায় প্রিক্লেমশিয়া ও গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ থাকে
তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এছাড়া যেসব নারীদের
বংশগতভাবে ডায়বেটিস ও হৃদরোগের ইতিহাস আছে তারা যদি গর্ভাবস্থায় উচ্চ
রক্তচাপে আক্রান্ত হন তাহলে তাদের সন্তান প্রসবের পর হৃদরোগে, স্ট্রোক ও
ডায়াবেটিসের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব
নারী গর্ভাবস্থায় প্রিক্লেমশিয়া ও গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়েছেন
সন্তান প্রসবের পর তাদের অনেক নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করা উচিত। কারণ ওজন
নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমেই এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ
করা সম্ভব।
সূত্র : ডিকেন ক্রনিক্যাল
0 comments: