হার্টের রোগে ভুগছেন কম থেকে বেশি বয়সী অনেক মানুষই। এতে মৃত্যুও ঘটে
অনেক মানুষেরই। তবে সঠিক চিকিৎসা করতে পারলে এর থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
তবে সবসময় চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।
অনেকেই আবার হার্ট ব্লকেজের সমস্যায় ভুগেন। সেক্ষেত্রে অপারেশনই একমাত্র পথ বলে মনে করেন সবাই। সাধারণত বাংলাদেশে যেসব রোগীদের হার্ট ব্লকেজ হয় তাদের যে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত আছে তা দু ধরনের হয়।
১. ওপেন হার্ট সার্জারি বা বাইপাস সার্জারি। যাতে বুক কেটে সার্জারি করা হয় অর্থাৎ একটা বাইপাস পথ তৈরি করা হয় আর্টারির।
২. আর্টারির ভেতরে রিং বসানো, যাতে ব্লাড সার্কুলেট ঠিকভাবে হতে পারে।
হার্ট ব্লকেজ কেন হয়?
আমাদের পুরো দেহের জন্য যে অক্সিজেন দরকার হয়। সেটা আমরা যখন শ্বাস নেই তখন নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা অক্সিজেন হৃৎপিণ্ডে যায় আর হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে সার্কুলেট হয়। অর্থাৎ সারাদেহে অক্সিজেন প্রবাহিত হয়। অক্সিজেন যদি কোনোভাবে দেহের কোনো অংশে না পৌঁছায় তাহলে দেহের সেই অংশটা নষ্ট হয়ে যাবে বা বিকল হয়ে পড়বে। এই অক্সিজেন পৌঁছানোর কাজ করে রক্ত। আর মাধ্যম হিসেবে থাকে হৃৎপিণ্ড। তাই হৃৎপিণ্ডের বেঁচে থাকাটা সবথেকে জরুরি।
হৃৎপিণ্ডেরও অক্সিজেন দরকার। সারা দেহে রক্তের সঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছানোর সময় নিজের জন্য এই অক্সিজেন হৃৎপিণ্ড নিজেই সরবরাহ করে থাকে। হৃৎপিণ্ডে এই অক্সিজেন সরবরাহ করে সাধারণত করনারি আর্টারি। এই করনারি আর্টারি বা ধমনিতে রক্ত চলচলের পথে যদি কোনো বাধার সৃষ্টি হয়, যেটা বেশিরভাগ সময় কোলেস্টেরল এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাছাড়া ট্রাই গ্লিসারল এর মাধ্যমে বা চর্বির মাধ্যমেও হলে এটাকে হার্ট ব্লকেজ বলে। হার্ট ব্লকেজটা মূলত করনারি আর্টারি ডিজিজ।
হার্ট ব্লকেজ হলে ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা করে এটি নিশ্চিত করেন। সবথেকে সহজ পরীক্ষা হচ্ছে লিপিড প্রোফাইল। এরপরে আছে এনজিওগ্রাম, ইসিজি করা হয় এবং ইসিজির মাধ্যমে অভিজ্ঞ ডাক্তাররা বুঝতে পারে রোগীর হার্টে ব্লকেজ হয়েছে। কত পার্সেন্ট ব্লকেজ হয়েছে সেটি বোঝার জন্য এনজিওগ্রাম করা হয়। এনজিওগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত হলে ডাক্তাররা দুটি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ওপেন হার্ট সার্জারি ও আর্টারির ভেতরে রিং বসানো।
হার্ট অ্যাটাক কখন হয়?
হার্ট ব্লকেজ ৯৫% হলে তখন আর্টারির ভেতর দিয়ে অক্সিজেন পূর্ণ রক্ত অপরপাশে যেতে পারে না। তখন অপর প্রান্তের ধমনি নষ্ট হয়ে যায় এবং তখন তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে। হার্ট সাধারণত দু প্রকার হয়। মাইল্ড ও সিভিয়ার। মাইল্ড হলে রিকভার হয়ে যায়, সুস্থ হয়ে যায়। তবে সিভিয়ার হলে অনেক সময় ডাক্তারের কাছে নেয়ার মতো সময়ও পাওয়া যায় না, তার আগেই রোগী মারা যায়। হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট ব্লকেজ রোধে করনীয়-
১. চর্বি জাতীয় সব ধরনের খাবার বাদ দিন। রক্তে নতুন কোনো চর্বি জমতে দেবেন না। অর্থাৎ খাবারের তালিকা থেকে চর্বি বাদ রাখুন। খাবারে তেলের ব্যবহার খুবই সামান্য করবেন।
২. কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারল আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারল থাকে প্রাণীজ উৎসে। তাই প্রাণীজ উৎস সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দিতে হবে। উদ্ভিদ উৎস থেকে আমিষ নিন। ডাল, মাশরুম থেকে আমিষ গ্রহণ করুন।
৩. প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন অল্প অল্প করে হাঁটতে শুরু করুন। এরপর ধীরে ধীরে হাঁটার সময় বাড়াতে থাকুন।
৪. কোনো প্রকার ধুমপান, মধ্যপান করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. সবসময় একজন ডাক্তারের অবজারভেশনে থাকুন।
অনেকেই আবার হার্ট ব্লকেজের সমস্যায় ভুগেন। সেক্ষেত্রে অপারেশনই একমাত্র পথ বলে মনে করেন সবাই। সাধারণত বাংলাদেশে যেসব রোগীদের হার্ট ব্লকেজ হয় তাদের যে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত আছে তা দু ধরনের হয়।
১. ওপেন হার্ট সার্জারি বা বাইপাস সার্জারি। যাতে বুক কেটে সার্জারি করা হয় অর্থাৎ একটা বাইপাস পথ তৈরি করা হয় আর্টারির।
২. আর্টারির ভেতরে রিং বসানো, যাতে ব্লাড সার্কুলেট ঠিকভাবে হতে পারে।
হার্ট ব্লকেজ কেন হয়?
আমাদের পুরো দেহের জন্য যে অক্সিজেন দরকার হয়। সেটা আমরা যখন শ্বাস নেই তখন নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা অক্সিজেন হৃৎপিণ্ডে যায় আর হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে সার্কুলেট হয়। অর্থাৎ সারাদেহে অক্সিজেন প্রবাহিত হয়। অক্সিজেন যদি কোনোভাবে দেহের কোনো অংশে না পৌঁছায় তাহলে দেহের সেই অংশটা নষ্ট হয়ে যাবে বা বিকল হয়ে পড়বে। এই অক্সিজেন পৌঁছানোর কাজ করে রক্ত। আর মাধ্যম হিসেবে থাকে হৃৎপিণ্ড। তাই হৃৎপিণ্ডের বেঁচে থাকাটা সবথেকে জরুরি।
হৃৎপিণ্ডেরও অক্সিজেন দরকার। সারা দেহে রক্তের সঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছানোর সময় নিজের জন্য এই অক্সিজেন হৃৎপিণ্ড নিজেই সরবরাহ করে থাকে। হৃৎপিণ্ডে এই অক্সিজেন সরবরাহ করে সাধারণত করনারি আর্টারি। এই করনারি আর্টারি বা ধমনিতে রক্ত চলচলের পথে যদি কোনো বাধার সৃষ্টি হয়, যেটা বেশিরভাগ সময় কোলেস্টেরল এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাছাড়া ট্রাই গ্লিসারল এর মাধ্যমে বা চর্বির মাধ্যমেও হলে এটাকে হার্ট ব্লকেজ বলে। হার্ট ব্লকেজটা মূলত করনারি আর্টারি ডিজিজ।
হার্ট ব্লকেজ হলে ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা করে এটি নিশ্চিত করেন। সবথেকে সহজ পরীক্ষা হচ্ছে লিপিড প্রোফাইল। এরপরে আছে এনজিওগ্রাম, ইসিজি করা হয় এবং ইসিজির মাধ্যমে অভিজ্ঞ ডাক্তাররা বুঝতে পারে রোগীর হার্টে ব্লকেজ হয়েছে। কত পার্সেন্ট ব্লকেজ হয়েছে সেটি বোঝার জন্য এনজিওগ্রাম করা হয়। এনজিওগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত হলে ডাক্তাররা দুটি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ওপেন হার্ট সার্জারি ও আর্টারির ভেতরে রিং বসানো।
হার্ট অ্যাটাক কখন হয়?
হার্ট ব্লকেজ ৯৫% হলে তখন আর্টারির ভেতর দিয়ে অক্সিজেন পূর্ণ রক্ত অপরপাশে যেতে পারে না। তখন অপর প্রান্তের ধমনি নষ্ট হয়ে যায় এবং তখন তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে। হার্ট সাধারণত দু প্রকার হয়। মাইল্ড ও সিভিয়ার। মাইল্ড হলে রিকভার হয়ে যায়, সুস্থ হয়ে যায়। তবে সিভিয়ার হলে অনেক সময় ডাক্তারের কাছে নেয়ার মতো সময়ও পাওয়া যায় না, তার আগেই রোগী মারা যায়। হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট ব্লকেজ রোধে করনীয়-
১. চর্বি জাতীয় সব ধরনের খাবার বাদ দিন। রক্তে নতুন কোনো চর্বি জমতে দেবেন না। অর্থাৎ খাবারের তালিকা থেকে চর্বি বাদ রাখুন। খাবারে তেলের ব্যবহার খুবই সামান্য করবেন।
২. কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারল আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারল থাকে প্রাণীজ উৎসে। তাই প্রাণীজ উৎস সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দিতে হবে। উদ্ভিদ উৎস থেকে আমিষ নিন। ডাল, মাশরুম থেকে আমিষ গ্রহণ করুন।
৩. প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন অল্প অল্প করে হাঁটতে শুরু করুন। এরপর ধীরে ধীরে হাঁটার সময় বাড়াতে থাকুন।
৪. কোনো প্রকার ধুমপান, মধ্যপান করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. সবসময় একজন ডাক্তারের অবজারভেশনে থাকুন।
0 comments: