Thursday, March 15, 2018

তিন দিনের ক্রাশ ডায়েট

নিজেকে ফিট রাখার জন্য পরিকল্পনার কমতি নেই। ডায়েটের ক্ষেত্রে বেশি দিন বা অল্প দিন-দুই রকমেরই পরিকল্পনা করা য়ায়। অনেক সময় অল্প দিনে ক্রাশ ডায়েটেই বেশ ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো বলেন, যাঁরা দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাঁরা তিন দিনের ক্রাশ ডায়েট করতে পারেন। তিন দিনে ক্রাশ ডায়েট করে ওজন কমিয়ে নিজেকে ঝরঝরে করে তোলা যায়।
তিন দিনের ক্রাশ ডায়েট করতে চাইলে প্রথমেই পরিবর্তন আনতে হবে খাদ্যাভ্যাসে। কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মধ্য দিয়েই পার করতে হবে তিন দিন। তিন দিনে চার থেকে সাড়ে চার কেজি ওজন কমতে পারে। তিন দিনের পর এই ডায়েট বন্ধ করে স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করতে হবে। এরপর আবার প্রয়োজন হলে তিন দিনের এই ডায়েট অনুসরণ করা যাবে।
আখতারুন্নাহার আলো জানিয়েছেন তিন দিনের ক্রাশ ডায়েটের তালিকা।

প্রথম দিন
সকাল থেকেই ডায়েটের দিন গণনা শুরু করুন। প্রথম দিনের সকালে নাশতায় থাকুক-একটা বিস্কুট, ছোট আকারের একটা আপেল ও চিনি-দুধ ছাড়া এক কাপ চা বা কফি। সকাল ও দুপুরে মধ্যবর্তী সময়ে খাবেন একটা ছোট আকারের খিরা বা পেয়ারা। দুপুরে খাবারে খাবেন এক টুকরো পাউরুটি, ৫০ গ্রাম ছোট মাছ, দুধ-চিনি ছাড়া এক কাপ চা অথবা কফি। বিকেলে অল্প পরিমাণে সবজির স্যুপ। আর রাতে ছোট এক টুকরা মাংস,১টা ছোট আপেল ও অর্ধেক কলা।

দ্বিতীয় দিন
দ্বিতীয় দিন সকালের নাশতায় খেতে পারেন একটা বিস্কুটের সঙ্গে একটা ডিম এবং ছোট আকারের একটা পেয়ার। দুপুরের খাবারের কয়েক ঘণ্টা আগে খাবেন একটা আপেল। দিনের কাজ শেষ করে বিকেলের দিকে পান করবেন সবজির স্যুপ। রাতের খাবার হিসেবে একটা গাজর, অর্ধেকটা কলা এবং ৫০ গ্রাম ছোট মাছ।

তৃতীয় দিন
শেষ দিনে সকালের নাশতায় রাখবেন দুই থেকে তিনটা বিস্কুট, একটা ছোট আপেল। বেলা ১১টার দিকে খাবেন একটা আপেল। পাউরুটির টোস্ট, একটা সেদ্ধ ডিম দিয়ে করবেন শেষ দিনের দুপুরের খাবার। আগের দুই দিনের মতো তৃতীয় দিন সন্ধ্যার আগে পান করুন সবজির স্যুপ। ক্রাশ ডায়েটের শেষ দিনে রাখবেন ৫০ গ্রাম ছোট মাছ, অর্ধেক কলা ও সাধারণ স্যুপ।

ব্যায়াম
খাবারের পাশাপাশি ক্রাশ ডায়েটের সময় যতটুকু সম্ভব ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়ামের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই এই ডায়েটে। ক্রাশ ডায়েটের মধ্যেও প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। কতটুকু ব্যায়াম করবেন, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া ভালো। এই ডায়েট অনুসরণ করার আগেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।  

গ্রন্থনা: তারিকুর রহমান খান

SHARE THIS

Author:

Facebook Comment

0 comments: