Friday, February 16, 2018

গর্ভাবস্থায় অ্যাজমা

যাদের আগে থেকেই অ্যাজাম আছে গর্ভাবস্থায় তাদের এক-তৃতীয়াংশের অ্যাজমা বেড়ে যায়, এক-তৃতীয়াংশের অ্যাজমা উন্নতি হয়েছে এবং অবশিষ্টের অ্যাজমা পূর্বের মতোই থাকে। গর্ভাবস্থায় ২২-২৪ সপ্তাহে কিংবা গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অ্যাজমার উপসর্গ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সন্তান প্রসবকালে অ্যাজমার উপসর্গ বৃদ্ধির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কেন বেড়ে যায় : এর সঠিক কারণটি এখনও অজানা। তবে গর্ভবতীর পাকস্থলীতে চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স বেড়ে যায়। ফলে অ্যাজমার প্রবণতা ও বুক জ্বালা বেড়ে যায়। সাইনাসে ইনফেকশন, শ্বাসতন্ত্রে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ ও করটিসোল হরমোনের কারণেও অ্যাজমার তীব্রতা বেড়ে যায়।
অ্যাজমা কী গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করে : অ্যাজমা ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে গর্ভবতী বা অনাগত সন্তানের ক্ষতির কোনো আশঙ্কাই থাকে না। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্ম দেয়া সম্ভব। কিন্তু অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে জন্মের সময় শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে। কারণ মায়ের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় বলে শিশুর রক্তেও কমে যায়। এই অক্সিজেন স্বল্পতা গর্ভস্থ শিশুর বেড়ে ওঠার অন্তরায়।
চিকিৎসা : ইনহেলারই গর্ভবতীর জন্য কার্যকর ও নিরাপদ চিকিৎসা। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যালার্জি ভ্যাকসিনও কম ডোজে দেয়া যায়। অ্যাজাম রোগী শিশুকে বুকের দুধও খাওয়াতে পারবেন।
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ
দ্য অ্যালার্জি ও অ্যাজমা সেন্টার
পান্থপথ, ঢাকা।


SHARE THIS

Author:

Facebook Comment

0 comments: