ক্যান্সার শব্দটি 'মিথ্যা' ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। আধুনিক বিশ্বের ক্যান্সার শব্দটা এত বেশি ছড়িয়ে পড়েছে যে এটি বৃদ্ধ, তরুণ, শিশুসহ সবাইকে প্রভাবিত করেছে।
কিছু শ্রেণি 'ক্যান্সার' শব্দটি ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণ অর্থ কামিয়ে নেন। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়েও ক্যান্সার সারিয়ে তোলা সম্ভব।
'ক্যান্সার মুক্ত পৃথিবী; ভিটামিন ১৭ এর গল্প' নামের একটি বই লেখা হয়েছিল। আলোচিত এই বইটি যাতে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ না হয় সে ব্যাপারে বাধা দেয়া হয়েছে।
আসলে ক্যান্সার কোনো রোগের নাম নয়, শরীরে 'ভিটামিন ১৭' এর অভাব। তাই ক্যান্সার হলেই সার্জারি, ক্যামোথেরাপি কিংবা এমন কোনো ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই যা শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ক্যান্সার কোনো রোগ নয় যে তার চিকিৎসা করতে হবে এটা শুধুই শরীরের একটা ঘাটতি।
চলুন মানব সভ্যতার পূর্বের সময়ে ফিরে যাই যখন 'স্কার্ভি' নামক রোগে ভুগে সমুদ্রে পাড়ি দেয়া বহু মানুষ মারা যেত। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষই মারা গেছে।
পরে আবিস্কার হয় যে স্কার্ভি শুধুই শরীরে ভিটামিন সি'এর ঘাটতি এবং এটা কোনো রোগ নয়। ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
বিশ্বকে একটা উপনিবেশ করে রাখতে ক্যান্সার শিল্প স্থাপন করা হয়েছে। এটিকে ব্যবসায় পরিণত করেছে যা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্যান্সার শিল্প বিকশিত হয়।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে এত বেশি সময় অপচয়, এ নিয়ে বিস্তারিত জানা কিংবা কাড়ি কাড়ি টাকা খরচের কোনো দরকার নেই। বহু আগেই ক্যান্সার নিরাময়ের উপায় আবিস্কৃত হয়েছে। ক্যান্সারের ব্যয়বহুল চিকিৎসার পথে না হেঁটে কোন বিকল্প পথে আমরা যেতে পারি।
ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিরাময় যেভাবে সম্ভব
যার ক্যান্সার হয়েছে তার জানা ক্যান্সারটা আসলেই কী?
আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তার পরিবর্তে আসল অবস্থা জানার চেষ্টা করুন।
বর্তমানে কী কেউ স্কার্ভির কারণে মারা যায়? না। কারণ এটির নিরাময় করা হয়েছে।
যেহেতু ক্যান্সার ভিটামিন ১৭ এর ঘাটতি তাই এপ্রিকোট (খুবানি-কমলা রঙের গোলাকার ফল) কিংবা অন্য কোনো ফলের ১৫/২০টি বীজ প্রতিদিন খেলেই যথেষ্ট।
গমের কুড়ি কিংবা এর অঙ্কুর অবিশ্বাস্যভাবে ক্যান্সাররোধী মেডিসিন হিসেবে কাজ করে। এটি লিকুইড অক্সিজের সমৃদ্ধ উৎস যা 'লেট্রিল' নামেও পরিচিত। আপেলের বীজ ভিটামিন ১৭ এর বড় একটি উৎস যা 'এমিজডালিন' নামে পরিচিত।
আমেরিকার মেডিসিনাল ইন্ড্রাস্ট্রি একটি আইন বাস্তবায়ন শুরু করেছে যাতে লেট্রিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এটি মেক্সিকোতে উৎপাদিত হয় এবং পাচার হয়ে আমেরিকাতে আসে।
ডা. হ্যারল্ড ডব্লিউ. ম্যানার তার 'ডেথ অব ক্যান্সার' বইতে লেট্রিল দিয়ে ক্যান্সার নিরাময়ের বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে সফলতার হার ৯০ শতাংশের বেশি।
ভিটামিন ১৭ এর আরও কয়েকটি উৎস
১.ফলের বীজ : আপেল, এপ্রিকেট, পীচ ফল (জাম জাতীয় ফল এবং জামের মতোই রসালো), নাশপাতি, আলুবোখারা, শুকনো বরই।
২.সীম জাতীয় খাবার: ডালের অঙ্কুর, সীম ও মটরশুটি
২.বাতাম: টকজাতীয় কাজুবাদাম ও ভারতীয় কাজুবাদাম,
৩. সবধরনের মালবেরিস(mulberries)
৪.বাতামি চাল, ধান, খামির, ছাঁটা ছাড়া চাল, কুমড়া
সূত্র: হেইলথভেইনস
0 comments: