Tuesday, February 28, 2017

বুদ্ধিমান মানুষের জীবনে সুখ থাকে না, মত গবেষকদের

 
বুদ্ধিমান মানুষদেরই পোহাতে হয় যতো যাতনা। জীবনে তাঁদের সুখ নামক বস্তুটি থাকে না বললেই চলে। মনের শান্তি সর্বদা পালিয়ে যায় যুক্তির জানালা দিয়ে। কেন এমনটা হয়? গবেষকরা মনে করছেন তার কারণ –  অত্যধিক চিন্তা: বুদ্ধিমান মানুষের মন সর্বদা প্রশ্নশীল হয়। সমস্ত ঘটনার কারণ নিয়ে প্রচুর কৌতুহল থাকে তাঁদের। যতক্ষণ না উত্তর পান, ততক্ষণ সেই নিয়েই চলতে চিন্তা। আর এই চিন্তাই মনকে অশান্ত করে তোলে। অশান্ত মনে সুখের স্থান কোথায়?  উচ্চাকাঙ্খা: বুদ্ধিমান মানুষরাও জীবনে ছোটখাট প্রাপ্তিতে খুশি হন না। জীবন থেকে তাঁদের চাহিদা অনেক অনেক বেশি। কিন্তু জীবনে সমস্ত চাহিদা তো আর পূরণ হয় না? তাই সুখও তাঁদের জীবনে স্থায়ী হয় না।  অর্থবহ আলোচনা: সবার বুদ্ধির বহর এক নয়। তাই সবার সঙ্গে সব কথা সমানভাবে আলোচনা করা যায় না। বুদ্ধিমান মানুষরা তো একদমই পারেন না সবার সঙ্গে সমানভাবে মিশতে। যদি তাঁদের মনে হয় সামনের মানুষটাও তার কথার অর্থ বুঝতে সক্ষম, তবেই তারা সেই আলোচনায় মনোযোগ দিতে পারেন এবং আলোচনা করে সন্তুষ্ট হন।  বাড়তি প্রত্যাশা: বুদ্ধিমান মানুষের জীবনের কাছে প্রচুর প্রত্যাশা থাকে। সেই প্রত্যাশা যখন পূরণ হয় না৷ তাঁরা সেই বিষয়টি একেবারেই গ্রহণ করতে পারেন না৷ কেন তাঁরা প্রত্যাশিত জিনিসটি পেলেন না। তা ভাবতে বসেই জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যায়৷ তাই জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই তাদের কাছে সুখ অধরা থেকে যায়।  নিজের সমালোচনা: বুদ্ধিমান মানুষ অন্যের ভুল দেখার আগে নিজের ভুলটা খুঁজে দেখেন। এই অভ্যাসের ফলে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের সবচেয়ে বড় সমালোচক হয়ে ওঠেন। যার ফল তাঁদের প্রায় সারা জীবন ভুগতে হয়।  এইসব কারণে অনেক সময় দেখা যায় বুদ্ধিমান মানুষের জীবন একা থেকে যায়। আর এর ফলেই অধিকাংশ বুদ্ধিমান মানুষই একটা সময়ের পর মানসিক রোগে ভুগতে থাকেন বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বুদ্ধিমান মানুষদেরই পোহাতে হয় যতো যাতনা। জীবনে তাঁদের সুখ নামক বস্তুটি থাকে না বললেই চলে। মনের শান্তি সর্বদা পালিয়ে যায় যুক্তির জানালা দিয়ে। কেন এমনটা হয়? গবেষকরা মনে করছেন তার কারণ –
অত্যধিক চিন্তা:
বুদ্ধিমান মানুষের মন সর্বদা প্রশ্নশীল হয়। সমস্ত ঘটনার কারণ নিয়ে প্রচুর কৌতুহল থাকে তাঁদের। যতক্ষণ না উত্তর পান, ততক্ষণ সেই নিয়েই চলতে চিন্তা। আর এই চিন্তাই মনকে অশান্ত করে তোলে। অশান্ত মনে সুখের স্থান কোথায়?

উচ্চাকাঙ্খা:
বুদ্ধিমান মানুষরাও জীবনে ছোটখাট প্রাপ্তিতে খুশি হন না। জীবন থেকে তাঁদের চাহিদা অনেক অনেক বেশি। কিন্তু জীবনে সমস্ত চাহিদা তো আর পূরণ হয় না? তাই সুখও তাঁদের জীবনে স্থায়ী হয় না।

অর্থবহ আলোচনা:
সবার বুদ্ধির বহর এক নয়। তাই সবার সঙ্গে সব কথা সমানভাবে আলোচনা করা যায় না। বুদ্ধিমান মানুষরা তো একদমই পারেন না সবার সঙ্গে সমানভাবে মিশতে। যদি তাঁদের মনে হয় সামনের মানুষটাও তার কথার অর্থ বুঝতে সক্ষম, তবেই তারা সেই আলোচনায় মনোযোগ দিতে পারেন এবং আলোচনা করে সন্তুষ্ট হন।

বাড়তি প্রত্যাশা:
বুদ্ধিমান মানুষের জীবনের কাছে প্রচুর প্রত্যাশা থাকে। সেই প্রত্যাশা যখন পূরণ হয় না৷ তাঁরা সেই বিষয়টি একেবারেই গ্রহণ করতে পারেন না৷ কেন তাঁরা প্রত্যাশিত জিনিসটি পেলেন না। তা ভাবতে বসেই জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যায়৷ তাই জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই তাদের কাছে সুখ অধরা থেকে যায়।

নিজের সমালোচনা:
বুদ্ধিমান মানুষ অন্যের ভুল দেখার আগে নিজের ভুলটা খুঁজে দেখেন। এই অভ্যাসের ফলে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের সবচেয়ে বড় সমালোচক হয়ে ওঠেন। যার ফল তাঁদের প্রায় সারা জীবন ভুগতে হয়।

এইসব কারণে অনেক সময় দেখা যায় বুদ্ধিমান মানুষের জীবন একা থেকে যায়। আর এর ফলেই অধিকাংশ বুদ্ধিমান মানুষই একটা সময়ের পর মানসিক রোগে ভুগতে থাকেন বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2017/02/23/210392#sthash.cLj0JkLD.dpuf
বুদ্ধিমান মানুষদেরই পোহাতে হয় যতো যাতনা। জীবনে তাঁদের সুখ নামক বস্তুটি থাকে না বললেই চলে। মনের শান্তি সর্বদা পালিয়ে যায় যুক্তির জানালা দিয়ে। কেন এমনটা হয়? গবেষকরা মনে করছেন তার কারণ –
অত্যধিক চিন্তা:
বুদ্ধিমান মানুষের মন সর্বদা প্রশ্নশীল হয়। সমস্ত ঘটনার কারণ নিয়ে প্রচুর কৌতুহল থাকে তাঁদের। যতক্ষণ না উত্তর পান, ততক্ষণ সেই নিয়েই চলতে চিন্তা। আর এই চিন্তাই মনকে অশান্ত করে তোলে। অশান্ত মনে সুখের স্থান কোথায়?

উচ্চাকাঙ্খা:
বুদ্ধিমান মানুষরাও জীবনে ছোটখাট প্রাপ্তিতে খুশি হন না। জীবন থেকে তাঁদের চাহিদা অনেক অনেক বেশি। কিন্তু জীবনে সমস্ত চাহিদা তো আর পূরণ হয় না? তাই সুখও তাঁদের জীবনে স্থায়ী হয় না।

অর্থবহ আলোচনা:
সবার বুদ্ধির বহর এক নয়। তাই সবার সঙ্গে সব কথা সমানভাবে আলোচনা করা যায় না। বুদ্ধিমান মানুষরা তো একদমই পারেন না সবার সঙ্গে সমানভাবে মিশতে। যদি তাঁদের মনে হয় সামনের মানুষটাও তার কথার অর্থ বুঝতে সক্ষম, তবেই তারা সেই আলোচনায় মনোযোগ দিতে পারেন এবং আলোচনা করে সন্তুষ্ট হন।

বাড়তি প্রত্যাশা:
বুদ্ধিমান মানুষের জীবনের কাছে প্রচুর প্রত্যাশা থাকে। সেই প্রত্যাশা যখন পূরণ হয় না৷ তাঁরা সেই বিষয়টি একেবারেই গ্রহণ করতে পারেন না৷ কেন তাঁরা প্রত্যাশিত জিনিসটি পেলেন না। তা ভাবতে বসেই জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যায়৷ তাই জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই তাদের কাছে সুখ অধরা থেকে যায়।

নিজের সমালোচনা:
বুদ্ধিমান মানুষ অন্যের ভুল দেখার আগে নিজের ভুলটা খুঁজে দেখেন। এই অভ্যাসের ফলে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের সবচেয়ে বড় সমালোচক হয়ে ওঠেন। যার ফল তাঁদের প্রায় সারা জীবন ভুগতে হয়।

এইসব কারণে অনেক সময় দেখা যায় বুদ্ধিমান মানুষের জীবন একা থেকে যায়। আর এর ফলেই অধিকাংশ বুদ্ধিমান মানুষই একটা সময়ের পর মানসিক রোগে ভুগতে থাকেন বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2017/02/23/210392#sthash.cLj0JkLD.dpuf

SHARE THIS

Author:

Facebook Comment

0 comments: