
১। ব্যথা: সাধারণত বক্ষপিঞ্জরের ঠিক নিচে, পেটের পেছন দিকে ও পাশে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা এখান থেকে তলপেটে, কুঁচকির কাছে ছড়িয়ে যায়। প্রস্রাবে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
২। প্রস্রাবের তাড়া: ঘন ঘন মূত্রত্যাগের নানা কারণ হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো কিডনিতে পাথর জমা।
৩। বমি ভাব: বেশির ভাগ সময়ই পেট খারাপ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এর পাশাপাশি বমি ভাবও হতে পারে।
৪। ঘোলাটে মূত্র: মূত্রের রং ঘোলাটে হলে শুধু কিডনিতে পাথর নয়, নানা ধরনের সংক্রমণও হতে পারে। তাই এমন সমস্যা দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
৫। জ্বর: কিডনিতে সমস্যা হলে জ্বর আসতে পারে। শরীর গরম হয়ে গেলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা করতে হবে অবিলম্বে।
৬। মাত্রাতিরিক্ত ঘাম: শরীরের নানা জায়গা ও বিশেষ করে মুখ অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়াকে আমরা খুব একটা পাত্তা দিই না। তবে এসবই কিডনিতে গোলমালের লক্ষণ বহন করে।
৭। রক্তমিশ্রিত মূত্র: যদি আপনার মূত্রের রং গোলাপি বা লালচে হয় ও তা দুর্গন্ধযুক্ত হয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে মুক্তি পাবার সহজ উপায়
৮। পানি: পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। এ ছাড়া কয়েকটি খাবার নিজের খাদ্যতালিকায় রাখলে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৯। ধনে পাতা: ধনে পাতার রস শরীর থেকে টক্সিনকে বের করে দিতে বিশেষ সাহায্য করে। এটি প্রোটিন ও ভিটামিন সি-এ সমৃদ্ধ, যা কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে মুক্তি দেয়। এটি কাঁচা বা রস করে খেতে পারেন।
১০। তুলসী পাতা: তুলসী পাতার অনেক গুণ। নানা ধরনের রোগের অব্যর্থ ওষুধ তুলসী। তুলসীর রস ও মধু নিয়মিত খেলে কিডনির পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
১১। বেদানা: কিডনির পাথরকে দূর করতে উপকারী বেদানার রস।
১২। শিমের খোসা: শিমের খোসা সেদ্ধ করে সেই পানি রসের মতো করে খেলে কিডনির উপকার হয়। কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
0 comments: