Very Recent Posts

Monday, July 20, 2020

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়শ

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়শ

ঢেঁড়শে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সি রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত আয়োডিন, ভিটামিন এ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। ফলে ঢেঁড়শ চাষ করলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে। কমবেশি সারা বছরই খাওয়া হলেও ঢেঁড়শের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো জানা নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ সবজির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা-
ঢেঁড়শের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে: ঢেঁড়শে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। অ্যাজমার লক্ষণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে এবং অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ঢেঁড়শ বেশ উপকারী।
কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ঢেঁড়শের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ ছাড়া আরও প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ; যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়: ঢেঁড়শের মধ্যে রয়েছে সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন; যা রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে কমাতে সহায়তা করে এবং অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রতিরোধ করে।
ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে: ঢেঁড়শ ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
বিষণ্ণতা দূর করে: ঢেঁড়শ বিষণ্ণতা, দুর্বলতা এবং অবসাদ দূর করতে সহায়তা করে।
দৃষ্টি ভালো রাখে: ঢেঁড়শে আছে বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লিউটিন; যা চোখের গ্লুকোমা, চোখের ছানি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যে থেকে নিস্তার পেতে ৩ অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্যে থেকে নিস্তার পেতে ৩ অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরিকল্পিত ডায়েট, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশানুক্রমিক। সময়মতো যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এই সমস্যা কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সময় থাকতেই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
ওষুধপত্রের চেয়ে প্রকৃতিতে থাকা উপাদান এক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজে দেয়। ভয় থাকেনা কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও। এবার জেনে নিন ৩টি আয়ুর্বেদিক উপায় যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য দূর করতে একেবারে অব্যর্থ-
  
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে একটি খোসাসহ গোটা আপেল খেয়ে নিন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় উপকার পাবেন।
  
রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক কাপ সামান্য উষ্ণ পানি খান। এই ভাবে উষ্ণ গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস হজমের সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করবে।
  
একটি বড় এলাচ এক কাপ গরম দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা এই এলাচটি থেঁতো করে দুধের সঙ্গেই খেয়ে ফেলুন। মারাত্মক রকমের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সকালে আর রাতে একই ভাবে এলাচ-দুধ খান। উপকার পাবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় করলার চা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় করলার চা

নভেল করোনাভাইরাস। চীনের উহানে প্রথমে শনাক্ত হওয়া এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও অঞ্চলে। এতে প্রতিনিয়ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এখানেও বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
মহামারি করোনা থেকে পালানোর চেষ্টা করছি আমরা। কিন্তু সবই পেরে উঠছি না। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাসে। অনেকের আবার ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে বাইরে। 
এমন অবস্থায় সবাই রয়েছি ঝুঁকির মধ্যে। প্রতিদিনই বিভিন্ন খাবার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বিশেষ করে সেসব খাবার, যেগুলো খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। নানা রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। এমনই একটি পানীয় করোলার চা। 
জানেন তো, করলা চায়ের কতো গুণ? জেনে নিন: 

• ডায়াবেটিস হলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে 
• এই হার্বাল চা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে  
• দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
• লিভার পরিষ্কার রাখে
• ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে
• ভিটামিন সি  সমৃদ্ধ করলা চা সব ধরনের ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে 
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।  
শুকনো করলার টুকরাকে পানিতে ভিজিয়ে রেখে এই তেতো চা তৈরি হয়। পরিমাণমতো পানি ফুটিয়ে নিন, তার মধ্যে শুকনো করলার টুকরো দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটান যাতে করলার পুষ্টি পাওয়া যায়। সামান্য চা পাতাও দিতে পারেন, এই হার্বাল চায়ে। মিষ্টির জন্য চিনির পরিবর্তে স্বাদমতো মধু নিন।
এটি গুঁড়া হিসেবেও বিভিন্ন অনলাইনে পাওয়া যায়। ডায়েটে ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।  
ফুসফুস ভালো রাখে যে ৫ খাবার

ফুসফুস ভালো রাখে যে ৫ খাবার

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফুসফুসে সংক্রমণ হতে পারে। ফুসফুসে সংক্রমণ হলে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট, যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে। তাই ফুসফুসকে সুস্থ রাখা জরুরি। 
ফুসফুস সুস্থ রাখার বিষয়ে খাবারের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।

কি খেতে হবে?

পুষ্টিবিদদের মতে, শাক-সবজি, আলু, পটল, কুমড়ো-গাজর বেশি করে খান। খোসা না ছাড়িয়ে তরকারি করে খেতে পারলে আরও ভাল।
এছাড়া পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের জন্য ভালো। তাই সবুজ শাক, টমেটো, বিট, আলু, কলা খান নিয়মিত। আর প্রোটিনের জন্য মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, ডাল, ছোলা ইত্যাদি।
ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে দিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে।
কয়েকটি বিশেষ খাবার রয়েছে যা ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে-
১। পেঁয়াজ ও রসুনঃ পেঁয়াজ ও রসুন প্রদাহের প্রবণতা কমায় ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। ‘জার্নাল অব ক্যানসার এপিডেমিওলজি’ ও ‘বায়োমার্কারস অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যেসব ধূমপায়ী কাঁচা রসুন খান তাদের ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখে ভোগার আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়।
২। আদাঃ আদা কুচি নিয়মিত খেলে ফুসফুস ভাল থাকে।
৩। কাঁচা মরিচঃ কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।
৪। হলুদ ঃহলুদের কারকিউমিন প্রদাহ কমায়।
৫। ফল ও সবজিঃ আপেল, পেয়ারা, শসা, সফেদা ইত্যাদি ফল ফুসফুসের জন্য খুবই ভাল। আপেল ও বাতাবি লেবুর ফ্ল্যাভেনয়েড ও ভিটামিন সি ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।  

Sunday, February 2, 2020

সাত দিনেই ব্রণ থেকে মুক্তি দেবে পালংশাক

সাত দিনেই ব্রণ থেকে মুক্তি দেবে পালংশাক

শীত কিংবা গরম প্রায় সব মৌসুমেই ব্রণের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় অনেককেই। মাঝে মধ্যে এর প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। তাই এর থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ভুল পদ্ধতি বেছে নেন।
জানেন কি, পালংশাক ব্রণের সমস্যা দূর করে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ত্বক পেতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে পালংশাক দিয়ে ফেইস মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের কোনো ক্ষতি ছাড়াই ব্রণ ও ব্রণের দাগের সমস্যার সমাধান করে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক এর ব্যবহার পদ্ধতি-

তৈরি ও ব্যবহার পদ্ধতি
প্রথমে পরিমাণ মতো পালংশাক নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে সামান্য পানি নিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো মতো ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি একটু ঘন পেস্টের মতো হবে। এবার পেস্টটি মুখে সমান ভাবে লাগিয়ে নিন। তারপর ২০ মিনিট রাখুন। এবার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেইস মাস্কটি ত্বকের রোমকুপে জমে থাকা ময়লা ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। যার ফলে ব্রণ ও এর দাগ দূর হয়। তাছাড়া পালংশাক ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করে তোলে।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন পরিষ্কার করার ৩ উপায়

মাইক্রোওয়েভ ওভেন পরিষ্কার করার ৩ উপায়

প্রতিদিনের ব্যস্ততায় একটু হলেও আরাম করার সুযোগ করে দেয় মাইক্রোওয়েভ ওভেন নামের যন্ত্রটি। অন্তত প্রতিদিন রান্নার হাত থেকে নিষ্কৃতি মেলে। পাশাপাশি কম ঝামেলায় অনেককিছু রান্নাও করা যায়। এই উপকারী যন্ত্রটিরও যত্ন প্রয়োজন। প্রয়োজন এটি নিয়মিত পরিষ্কার করার। তবে মাইক্রোওয়েভ ওভেন পরিষ্কার করা নিয়ে অনেকেই মুশকিলে পড়েন। তাই জেনে নিন ঝটপট মাইক্রোওয়েভ ওভেন পরিষ্কার করার সহজ তিনটি উপায়-

বেকিং সোডা ও পানি
একটা পাত্রে সামান্য পানি আর বেকিং সোডা নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। যতটা পানি নেবেন তার দ্বিগুন বেকিং সোডা নেবেন। এবারে মাইক্রোওয়েভের টার্ন টেবিলে আর বাকি অংশে (ভেতরে দিকে) পেস্ট লাগিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট রেখে দিন। এবারে একটা ভেজা তোয়ালে দিয়ে ভেতরের দেয়ালগুলো এবং টার্ন টেবিল মুছে নিন। দেখবেন ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে গেছে। সপ্তাহে দু’বার এভাবে পরিষ্কার করতে পারেন।

ভিনেগার
একটি মাইক্রোওয়েভ সেফ বাটিতে ১:১ রেশিওতে পানি আর ভিনেগার মিশিয়ে প্রায় ৫ মিনিট মাইক্রোওয়েভ করে নিন। এরপরে মাইক্রোওয়েভের ভেতরের দেয়াল ও টার্ন টেবিল সামান্য ঠান্ডা হলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। ভেজা তোয়ালে দিয়ে মোছার আগে সুইচ অফ করে নিতে ভুলবেন না।

ভিনেগার ও বেকিং সোডা
একটি পাত্রে আধ কাপ বেকিং সোডা আর সামান্য হালকা গরম পানি নিয়ে পেস্ট বানিয়ে মাইক্রোওয়েভের ভেতরের দিকের দেয়ালে লাগিয়ে নিন। এরপরে একটা মাইক্রোওয়েভ সেফ বোলে সমপরিমাণ পানি আর ভিনেগার মিশিয়ে ৩-৪ মিনিট মাইক্রো করে নিন। মাইক্রো হয়ে যাবার মিনিট ১৫ পর যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন বাটিটি বের করে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন।

মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত-
* যদি তোয়ালে দিয়ে মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার করেন তাহলে আগে মাইক্রোওয়েভ অফ করে নিন।

*মাইক্রোওয়েভের তার, প্লাগ এবং সকেট শুকনো কাপড় দিয়ে পরিস্কার করুন। ভুল করেও এগুলোতে পানি কিংবা ভেজা হাত লাগাবেন না।

*টার্ন টেবিল কিংবা ভেতরের দেয়ালে সরাসরি পানি দেবেন না। টার্ন টেবিল আপনি চাইলে আলাদাভাবে মেজে নিতে পারেন।

*ভেজা অবস্থাতে কোনোভাবেই টার্ন টেবিল মাইক্রোওয়েভে ঢোকাবেন না। এতে পড়ে শক লাগার আশঙ্কা থেকে যায় এবং মাইক্রোওয়েভের মোটরে জং ধরে যাবার ভয় থেকে যায়।
বিরক্তিকর ব্ল্যাকহেডস, লবণেই মিলবে সমাধান!

বিরক্তিকর ব্ল্যাকহেডস, লবণেই মিলবে সমাধান!

নারী বা পুরুষ উভয়ই ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস এর সমস্যায় ভুগে থাকেন। যা এক সময় নাকের উপর কালো ছাপের সৃষ্টি করে। নারীদের মধ্যে অনেকেই পার্লারে যায় এর থেকে রক্ষা পেতে।
তবে এর জন্য খুবই কষ্ট সহ্য করতে হয়। কিন্তু জানেন কি, এই বিরক্তিকর সমস্যার সমাধান রয়েছে আপনার ঘরেই। হ্যাঁ, লবণ ব্যবহার করেই আপনি এই সমস্যার হাত থেকে সহজেই রেহাই পেয়ে যাবেন। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-

প্রথমে একটি পাত্রে প্রয়োজন মতো টুথ পেস্ট আর লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি নাকে লাগিয়ে নিন। এভাবে ১০ মিনিট রাখুন। তারপর ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন নাকে কোনো ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস নেই।
সাত দিনেই ত্বকের কালো দাগ দূর করুন জাদুর মতো

সাত দিনেই ত্বকের কালো দাগ দূর করুন জাদুর মতো

নানা কারণেই আমাদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। রোদে পুড়ে বা ভুল প্রসাধনীর ব্যবহারও এর জন্য দায়ী। তাছাড়া ঠিকভাবে ত্বকের যত্ন না নিলেও ত্বকে কালো দাগ পড়তে পারে।

ব্রণের দাগের কারণেও আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে থাকে। যদি মুখে কালো দাগ হয়ে যায়, তাহলে ভুলেও কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের আরো ক্ষতি হয়। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করুন। চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের কালো দাগ থেকে মুক্তির সেই জাদুকরী উপায়টি-

একটি পাত্রে শশা, পেঁপে আর টমেটোর রস সম পরিমাণে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিন। যখন শুকিয়ে যাবে তখন দ্বিতীয় বার আবার এই মিশ্রণটি মুখে লাগান।

একইভাবে তিন থেকে চার বার এই মিশ্রণটি মুখে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট রাখার পর মুখটা ভালোভাবে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে কয়েকদিন এটি ব্যবহার করতে পারেন। সাত দিনেই ফলাফল চোখে পড়বে।
কিডনির পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায়

কিডনির পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায়

কিডনিতে পাথর এখন খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী বা পুরুষ সবাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই পাথর ক্ষতিগ্রস্ত করছে শরীরের কিডনিকে। আর দেরিতে এই রোগ ধরা পড়ায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।
তবে আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দূর করতে পারেন কিডনির পাথর।

কিডনি পাথর কী?
কিডনির ভেতরে মিনারেল জমে ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মতো পদার্থ তৈরি করে; একে কিডনি পাথর বলা হয়। অর্থাৎ ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের ডিপোজিশন হলে এই রোগের উৎপত্তি হয়।

এই রোগের লক্ষণ-
১. বমি বমি ভাব বা কখনও কখনও বমি হওয়া।
২. তলপেটের নিচে এবং কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া।
৩. পাঁজরের নিচে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়া এবং এই ব্যথার তীব্রতা ওঠা নামা করে।
৪. প্রস্রাব করতে গেলে ব্যথা হওয়া এবং কালচে লাল, লাল কিংবা বাদামি রঙের প্রস্রাব হওয়া।
৫. বারবার প্রস্রাব পাওয়া এবং স্বাভাবিকের তুলনায় প্রস্রাব বেশি পরিমাণে হওয়া।
৬. দুর্গন্ধ ও ফেনার মতন প্রস্রাব। কিডনিতে পাথর বিকাশের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের অবদান অনেক। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা কিডনিতে পাথর নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে।
তবে কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারেরও চেষ্টা করতে পারেন। আসুন জেনে নিই ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে কিডনি পাথর দূর করবেন–

১. প্রচুর পানি পান করতে হবে। খুব ছোট আকারের পাথর দেখা দিলে পরিমাণমতো পানি পানের মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

২. তুলসী পাতায় থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনির পাথরকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত দুবার করে তুলসীর রস খান। আর তুলসীর পাতা দিয়ে চা করেও পান করতে পারেন।

৩. পাতিলেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামজাত পাথর তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে এবং ছোট পাথরগুলোকে ভেঙে বের করে। রোজ সকালে পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশ্রিত করে পান করুন অথবা দিনের যেকোনো সময়ে লেবুর রস পান করুন।

৪. ডালিম রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং পাথর ও অন্যান্য টক্সিনকে দূর করতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সারাদিনে কতবার এটি পান করবেন তা ঠিক করুন।

৫. আপেল সিডার ভিনিগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর দূর করে এবং ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে পান করুন। তবে একদিনে ১৬ চামচের বেশি খাবেন না।

৬. মেথি বীজ কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বীজগুলো কিডনিতে জমাকৃত পাথর হ্রাস করে ও কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে। এক কাপ ফোটানো জলে ১ থেকে ২ চা চামচ শুকনো মেথি বীজ দিন। এটি প্রতিদিন পান করুন।

৭. কালিজিরা বীজ একটি গবেষণা অনুযায়ী, কালিজিরার বীজ কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন গঠনে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা দেয়। ২৫০ এমএল গরম জলে হাফ চা চামচ শুকনো কালিজিরা বীজ দিন। এটি দিনে দু’বার পান করুন। তবে এগুলো ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
একনের সমস্যা বাড়ায় এই খাবারগুলো

একনের সমস্যা বাড়ায় এই খাবারগুলো

সাধারণ ব্রণ বা পিম্পলের সমস্যা নয়, একনে (Acne) বেশ যন্ত্রণাদায়ক ও দীর্ঘমেয়াদী একটি চর্মরোগ। চুল ও ত্বকের ফলিকলে থাকা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে এই সমস্যাটি তৈরি নয়।
একনের সমস্যাটি যেহেতু সহজে ভালো হয় না, এর জন্য ত্বকের যত্নও প্রয়োজন হয় তুলনামূলক বেশি। তবে ত্বকের যত্নের সাথে খাদ্যাভ্যাসও একনের সমস্যার উপর অনেকখানি প্রভাব ফেলে। বিশেষত কিছু খাবার ত্বকের সমস্যাটি বাড়িয়ে দেয় বিধায় একনের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের উক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া খুবই জরুরি।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য
সাধারণত দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য উপাদানগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও একনের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের জন্য মোটেও উপযোগী নয়। হাড়ের সুস্থতায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে নির্ভরশীল উৎস হল দুধ। তবে বেশ কিছু সায়েন্টিফিক পরীক্ষার ফল থেকে প্রমাণ মিলেছে, দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য উপাদান ব্রণ ও একনের সমস্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
গবেষণার তথ্যানুসারে দুগ্ধজাত খাদ্য উপাদান গ্রহণে মেইল সেক্স হরমোন (অ্যান্ড্রজেনস – Androgens) ও ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। উভয়ই ত্বকের তেলগ্রন্থিকে কার্যকর করে তোলে এবং এতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয়। যা থেকে খুব সহজেই ব্রণ ও একনের সমস্যা বেড়ে যায়।

চিনি ও কার্বহাইড্রেট সম্পন্ন খাদ্য ও পানীয়
পছন্দের মিল্ক চকলেট, আইসক্রিম, কেক, ডোনাট, পাস্তা, পাউরুটি, কোমল পানীয় শুধু স্বাস্থ্যের জন্যেই ক্ষতিকর নয়, ত্বকেরও প্রধান শত্রু। এই খাবারগুলো হাই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হওয়ায় যেকোন খাদ্য উপাদান গ্রহণ করার পর সহজেই চিনিতে পরিণত হয়। এই চিনি রক্তের সাথে মিশে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা থেকে শরীরে সেলুলার ইনফ্ল্যামেশন তৈরি হয়। এই ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহের ফলে তৈরিকৃত এক প্রকার ক্ষতিকর এনজাইম ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিনকে ভেঙে দেয়। যা থেকে ত্বকে ব্রণ ও একনের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া, এর প্রভাব বেড়ে যাওয়া, ত্বকের কোমলতা নষ্ট হওয়ার মতো যাবতীয় সমস্যাগুলো দেখা দেয়।

অ্যালকোহলজাত পানীয়
নিউ ইয়র্ক ডার্মাটোলজি গ্রুপ এর ফাউন্ডার ডা. ডেভিড কলবার্ট জানান- শুধুমাত্র একনের সমস্যায় ভুক্তভোগীরা নয়, যেকোন ধরনের অ্যালকোহল ও অ্যালকোহল মিশ্রিত পানীয় থেকে সবাইকেই দূরে থাকতে থাকতে হবে। অ্যালকোহল খুব দ্রুত ত্বককে শুষ্ক করে তোলে এবং ত্বকের কোলাজেনের উপস্থিতিকে নষ্ট করে দেয়। যা ত্বকজনিত সমস্যা তৈরির পাশপাশি ত্বকের বর্তমান সমস্যগুলোকে বাড়িয়ে দেয় অনেক বেশি। এ কারণে শুধুমাত্র অ্যালকোহলই নয়, অ্যালকোহল উপস্থিত রয়েছে এমন পানীয়ও এড়িয়ে যেতে হবে সম্পূর্ণভাবে।
উপসর্গ থেকে চিনে নিন ভয়ংকর যৌনরোগ

উপসর্গ থেকে চিনে নিন ভয়ংকর যৌনরোগ

যৌনরোগ নিয়ে ভীতি, অজ্ঞতা বা সংকোচ আমাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। যৌনরোগ থেকে ক্যানসার, অন্ধত্ব, সন্তানের জন্মগত ত্রুটি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় পাওয়া তথ্য বলছে, পৃথিবী জুড়েই বাড়ছে যৌনরোগের প্রকোপ।

যৌনরোগের উপসর্গ
সাধারণত যৌনাঙ্গ থেকে তরল নিঃসৃত হওয়া, মূত্রে জ্বালাভাব, শারীরিক সম্পর্কের সময়ে ব্যথা বা রক্তপাত, তলপেটে ব্যথা, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত এবং গলায় সংক্রমণ-এই সব উপসর্গের কোনোটি দেখলে অবশ্যই যৌনরোগের পরীক্ষা করান। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রতি বছর সারা বিশ্বে অন্তত ২ কোটি মানুষ যৌনরোগে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে প্রায় ১ কোটি আক্রান্তের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। আসুন এ সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য জেনে নেই।

১) এইচপিভি (HPV) বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস এমন এক ধরনের ভাইরাস যা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায় এবং বেশ কয়েক ধরনের ক্যানসারের জন্য দায়ী। অনেকের মধ্যে এই ভাইরাস কোনো উপসর্গ ছাড়াই থাকতে পারে বছরের পর বছর।

২) নিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের জন্য কনডম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলেও তা ১০০ ভাগ সুরক্ষিত নয়। সাধারণত তরলের মাধ্যমে ছড়ায় এমন সব যৌনরোগ থেকে কনডম সুরক্ষা দিতে পারে। যেমন, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া বা এইচআইভি।

কিন্তু ত্বকের সংস্পর্শে ছড়ায় এমন সব যৌনরোগ যেমন সিফিলিস, হার্পিস এবং এইচপিভিকে আটকাতে কনডম তেমন কার্যকরী নয়।

৩) অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা হলো, শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেই যৌনরোগ ছড়ায়। কিন্তু বাস্তবে যৌনরোগ সম্পর্কে এটি হলো সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা। হার্পিস বা জেনিটাল ওয়ার্ট ত্বকের সংস্পর্শের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

৪) নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে জড়িত থাকলে বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করানো উচিত।

৫) বেশির ভাগ যৌনরোগই উপযুক্ত চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সেরে ওঠে। কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে এইচআইভির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের সিফিলিস, গনোরিয়া বা হার্পিস হয় তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
বিনা অপারেশনেই হার্ট ব্লকেজের চিকিৎসা!

বিনা অপারেশনেই হার্ট ব্লকেজের চিকিৎসা!

হার্টের রোগে ভুগছেন কম থেকে বেশি বয়সী অনেক মানুষই। এতে মৃত্যুও ঘটে অনেক মানুষেরই। তবে সঠিক চিকিৎসা করতে পারলে এর থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তবে সবসময় চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।

অনেকেই আবার হার্ট ব্লকেজের সমস্যায় ভুগেন। সেক্ষেত্রে অপারেশনই একমাত্র পথ বলে মনে করেন সবাই। সাধারণত বাংলাদেশে যেসব রোগীদের হার্ট ব্লকেজ হয় তাদের যে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত আছে তা দু ধরনের হয়।

১. ওপেন হার্ট সার্জারি বা বাইপাস সার্জারি। যাতে বুক কেটে সার্জারি করা হয় অর্থাৎ একটা বাইপাস পথ তৈরি করা হয় আর্টারির।

২. আর্টারির ভেতরে রিং বসানো, যাতে ব্লাড সার্কুলেট ঠিকভাবে হতে পারে।

হার্ট ব্লকেজ কেন হয়?
আমাদের পুরো দেহের জন্য যে অক্সিজেন দরকার হয়। সেটা আমরা যখন শ্বাস নেই তখন নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা অক্সিজেন হৃৎপিণ্ডে যায় আর হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে সার্কুলেট হয়। অর্থাৎ সারাদেহে অক্সিজেন প্রবাহিত হয়। অক্সিজেন যদি কোনোভাবে দেহের কোনো অংশে না পৌঁছায় তাহলে দেহের সেই অংশটা নষ্ট হয়ে যাবে বা বিকল হয়ে পড়বে। এই অক্সিজেন পৌঁছানোর কাজ করে রক্ত। আর মাধ্যম হিসেবে থাকে হৃৎপিণ্ড। তাই হৃৎপিণ্ডের বেঁচে থাকাটা সবথেকে জরুরি।
হৃৎপিণ্ডেরও অক্সিজেন দরকার। সারা দেহে রক্তের সঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছানোর সময় নিজের জন্য এই অক্সিজেন হৃৎপিণ্ড নিজেই সরবরাহ করে থাকে। হৃৎপিণ্ডে এই অক্সিজেন সরবরাহ করে সাধারণত করনারি আর্টারি। এই করনারি আর্টারি বা ধমনিতে রক্ত চলচলের পথে যদি কোনো বাধার সৃষ্টি হয়, যেটা বেশিরভাগ সময় কোলেস্টেরল এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাছাড়া ট্রাই গ্লিসারল এর মাধ্যমে বা চর্বির মাধ্যমেও হলে এটাকে হার্ট ব্লকেজ বলে। হার্ট ব্লকেজটা মূলত করনারি আর্টারি ডিজিজ।

হার্ট ব্লকেজ হলে ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা করে এটি নিশ্চিত করেন। সবথেকে সহজ পরীক্ষা হচ্ছে লিপিড প্রোফাইল। এরপরে আছে এনজিওগ্রাম, ইসিজি করা হয় এবং ইসিজির মাধ্যমে অভিজ্ঞ ডাক্তাররা বুঝতে পারে রোগীর হার্টে ব্লকেজ হয়েছে। কত পার্সেন্ট ব্লকেজ হয়েছে সেটি বোঝার জন্য এনজিওগ্রাম করা হয়। এনজিওগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত হলে ডাক্তাররা দুটি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ওপেন হার্ট সার্জারি ও আর্টারির ভেতরে রিং বসানো।

হার্ট অ্যাটাক কখন হয়?
হার্ট ব্লকেজ ৯৫% হলে তখন আর্টারির ভেতর দিয়ে অক্সিজেন পূর্ণ রক্ত অপরপাশে যেতে পারে না। তখন অপর প্রান্তের ধমনি নষ্ট হয়ে যায় এবং তখন তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে। হার্ট সাধারণত দু প্রকার হয়। মাইল্ড ও সিভিয়ার। মাইল্ড হলে রিকভার হয়ে যায়, সুস্থ হয়ে যায়। তবে সিভিয়ার হলে অনেক সময় ডাক্তারের কাছে নেয়ার মতো সময়ও পাওয়া যায় না, তার আগেই রোগী মারা যায়। হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট ব্লকেজ রোধে করনীয়-

১. চর্বি জাতীয় সব ধরনের খাবার বাদ দিন। রক্তে নতুন কোনো চর্বি জমতে দেবেন না। অর্থাৎ খাবারের তালিকা থেকে চর্বি বাদ রাখুন। খাবারে তেলের ব্যবহার খুবই সামান্য করবেন।

২. কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারল আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারল থাকে প্রাণীজ উৎসে। তাই প্রাণীজ উৎস সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দিতে হবে। উদ্ভিদ উৎস থেকে আমিষ নিন। ডাল, মাশরুম থেকে আমিষ গ্রহণ করুন।

৩. প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন অল্প অল্প করে হাঁটতে শুরু করুন। এরপর ধীরে ধীরে হাঁটার সময় বাড়াতে থাকুন।

৪. কোনো প্রকার ধুমপান, মধ্যপান করা থেকে বিরত থাকুন।

৫. সবসময় একজন ডাক্তারের অবজারভেশনে থাকুন।
অসুখের সঙ্গে লড়াই করে যেসব খাবার

অসুখের সঙ্গে লড়াই করে যেসব খাবার

অসুখ হলে সবাই ওষুধ খাওয়ার কথাই চিন্তা করেন। কিন্তু সব সময় ওষুধ না খেয়ে বিকল্প কিছুও চিন্তা রাখতে পারেন। এমন কিছু খাবার আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও কমে। যেমন-

বিট : বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এ কারণে নিয়মিত বিটরুট খেলে হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং যেকোন ধরনের প্রদাহের ঝুঁকি কমে।
স্বাদে মিষ্টি বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকায় এটি হজমের জন্যও উপকারী। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় বিটরুট যোগ করলে নানা রোগের ঝুঁকি কমে।

প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক : বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় শক্তিবর্ধক কিছু খাবার যোগ করতে পারেন। যেমন-অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, কাঁচা পেঁয়াজ, আদা কুঁচি, হলুদের গুঁড়া, রসুন কুঁচি, গোল মরিচ, মধু ইত্যাদি শক্তিবর্ধক উপাদান হিসেবে কাজ করে। এসব উপাদান দিয়ে শক্তিবর্ধক একটি মিশ্রণও তৈরি করতে পারেন। এ জন্য আপেল সিডার ভিনেগার ছাড়া সব কটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে একটা বয়ামে রেখে এতে ভিনেগার যোগ করুন। এরপর বয়ামের মুখ আটকিয়ে ভালোভাবে ঝাঁকান। এবার বয়ামটি ঠান্ডা জায়গায় ১৪ দিন পর্যন্ত রেখে দিন। প্রতিদিন এ মিশ্রণটি এক চামচ পরিমাণে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।

ক্রানবেরি : যেকোন ধরনের সংক্রমণ এবং মূত্রাশয়ের সমস্যা কমাতে ক্রানবেরি বা এর জুস দারুণ কার্যকরী। এছাড়া স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হতেও সাহায্য করে এ ফল। নিয়মিত ক্রানবেরি জুস বা ক্রানবেরি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমে।

হলুদের লেমোনেড: হলুদের লেমোনেড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজ করে। এ জন্য ৪ কাপ ঠান্ডা পানির সঙ্গে ৪ চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া, আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে লেমোনেড তৈরি করুন। চাইলে এতে কমলার রসও যোগ করতে পারেন। নিয়মিত এ পানীয় পানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

ফ্ল্যাক্স সিড : ফ্ল্যাক্স সিড এমন এক উপকারী বীজ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি নানা ধরনের ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে। ভালো ফল পেতে পানীয়, কিংবা নির্দিষ্ট খাবার তৈরির সময় দুই চামচ ফ্ল্যাক্স সিড যোগ করতে পারেন।
দাঁতের মাড়ি ফোলা ভাব মুহূর্তেই কমাবে এই পাতার রসে

দাঁতের মাড়ি ফোলা ভাব মুহূর্তেই কমাবে এই পাতার রসে

ছোট একটি গাছ, গা ভর্তি কাটা। তবে এর ভেষজ গুণ অনেক। এর ফল হয় শীতকালে। ভাবছেন কোন গাছ? বাবলা গাছের নাম নিশ্চয় শুনেছেন! এদেশে তার প্রচলিত নাম গুয়ে বাবলা।
জানেন কি? বাবলা গাছের শিকড় ব্যতীত এর সব অংশই ওষুধি গুণসম্পন্ন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বাবলা গাছের উপকারিতা ও গুণাগুণ সম্পর্কে-

> বাবলা পাতার রস স্নায়ুশক্তি বৃদ্ধি ও শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে বেশ উপকারী। বাবলা পাতার রস ৩ থেকে ৪ চামচ নিয়ে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সকাল ও বিকেল এক সপ্তাহ পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।

> বাবলা গাছের বাকল ও পাতার রস আমাদের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মানসিক বিকারগ্রস্থতা, হিস্টিরিয়া রোগ উপশমে বাবলার ব্যবহার হয়। দুধের সঙ্গে এর বাকল চূর্ণ মিশিয়ে দিনে তিন বার সেবন করলে হিস্টিরিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

> কাঁশি হলে বাবলা ফল শুকিয়ে গুঁড়া করে চিনি সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করলে কমে যায়।

> লিভারের বিভিন্ন রোগ এবং হজমের সমস্যায় বাবলা ভীষণ উপকারী। বাবলা পাতার রস শিশুদের পেটের বিভিন্ন অসুখে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে দারুণ কার্যকরী। এছাড়াও এটি টাইফয়েড রোগের জীবাণু ধ্বংস করে।

> যদি পাতলা পয়খানা বা আমাশয়ের সমস্যা হয় তবে বাবলা গাছের পাতা সিদ্ধ করুন। এবার চিনির সঙ্গে মিশিয়ে সেই পানি পান করলে উপকার মিলবে।

> শিশু দুধ পান করার সময় অনেক ক্ষেত্রে স্তনে ক্ষত হয়। তখন বাবলা গাছের ছাল থেঁতো করে সিদ্ধ করা পানি দিয়ে ক্ষত ধুলে ভালো হয়ে যাবে।

> দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে বাবলা গাছের পাতার রস গরম করে কুলকুচি করলে ফোলাভাব কমে যাবে।

> পা মচকে গেলে বাবলা গাছের পাতা বেটে প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।

> বাবলা পাতার রস আমাদের রক্ত পরিষ্কার এবং অকালে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকায়। তাই তারুণ্য ধরে রাখতে বাবলার পাতার রস কার্যকরী এক দাওয়াই।
পেশিতে ব্যথা ও টান লাগার ঘরোয়া সমাধান

পেশিতে ব্যথা ও টান লাগার ঘরোয়া সমাধান

মাসল ক্র্যাম্প! এই শব্দ মানেই গতি রুদ্ধ, কাজ বন্ধ, যাত্রাও পণ্ড। সোজা কথায় বলতে গেলে এক্কেবারে ফুল স্টপ। অন্তত কয়েক মিনিট তো বটেই। শারীরবিজ্ঞান অনুযায়ী, আমাদের পায়ের মাসলগুলো তৈরি হয়েছে বান্ডিল বান্ডিল ফাইবার দিয়ে, যা ক্রমান্বয়ে সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়, যাতে আমরা গতি পাই। এবার এই মাংসপেশিগুলোর কোনো একটিতে (আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে কাফ মাসলে) হঠাৎ সংকোচন হলেই মাসল ক্র্যাম্প হয়। টান ধরে। ক্র্যাম্প কখনও মৃদু হয়, আবার কখনও প্রগাঢ়। এতটাই যে, কখনও কখনও ঘুমের মধ্যে থেকেও উঠে বসতে হয়। আবার কখনও কখনও দেখা যায়, পায়ের মাংসপেশিতে আচমকা, প্রচণ্ড খিঁচুনি ধরে গেছে।
এই উপসর্গকে যাকে বেসবল খেলোয়াড় চার্লি ‘হস’ র‌্যাডবোর্নের নামানুকরণে ‘চার্লি হস’ বলে অভিহিত করা হয়। দিনের শেষে যেটাই হোক না কেন, করণীয় কী, বিস্তারিত জানান হার্ভার্ড মেডিক‌্যাল স্কুলের গবেষকরা।

কেন হয়:
প্রথম এবং সবচেয়ে ‘কমন’ কারণ হল এক্সারসাইজ। গরমে অনেকটা সময় ধরে শারীরিক কসরত করার পর মাংসপেশিতে ক্র্যাম্প ধরতে পারে। এর প্রধান কারণ অত‌্যধিক কসরতের পর মাংসপেশীগুলো এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার উপর আবার ‘ডিহাইড্রেটেড’ বা ‘পানিশূন‌্য’ও হয়। শরীরে ম‌্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামজাতীয় ইলেক্ট্রোলাইটসের ঘাটতির ফলে মাসলে ক্র্যাম্প ধরে। এর পাশাপাশি গর্ভাবস্থাতেও ক্র্যাম্প ধরার প্রবণতা থাকে। তৃতীয় ফ‌্যাক্টর বয়স। বয়স বাড়লে মাংসপেশী এমনিতেই অল্পে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার উপর আবার সেই সময় শরীরে তরল পদার্থর সামান‌্য অভাব বোধ হলেই বয়স্ক, অবসন্ন মাংসপেশিতে ক্র্যাম্প ধরে। এছাড়াও কোনও কোনও ক্ষেত্রে উচ্চ কোলেস্টরল প্রতিরোধে ব‌্যবহৃত স্ট‌্যাটিনের মতো ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে ক্র্যাম্প হয়।
এমনিতে মাসল ক্র্যাম্পে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, কিন্তু তবু যদি ক্র্যাম্প বার বার হয় এবং প্রতিবার প্রচণ্ড টান ধরে, যা আপনাকে কার্যত অচল, অসাড় করে দেয়, সেক্ষেত্রে অবশ‌্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাসল ক্র্যাম্প এমনি এমনিই সেরে যায়। ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে দু’টো জিনিস করতে পারেন। এক, পা স্ট্রেচ করুন। আর দুই, যে মাসলে ব‌্যথা, হালকা হাতে সেখানে ম‌্যাসাজ করুন। প্রয়োজনে তাপ প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। কোনও হিটিং প‌্যাড বা হট ওয়াটার ব‌্যাগ ব‌্যবহার করতে পারেন। আর ভবিষ‌্যতে ক্র্যাম্প যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রচুর পরিমাণে তরল পদার্থ গ্রহণ করুন, এক্সারসাইজ করার আগে। প্রত্যেকবার ওয়ার্ক আউট করার পর পা স্ট্রেচ করুন মিনিট কয়েকের জন‌্য। আবার শোওয়ার আগেও পা স্ট্রেচ করার অভ‌্যাস ঝালিয়ে নিতে পারেন, যাতে ঘুমের মধ্যে ক্র্যাম্প না ধরে। খুব সমস‌্যা হলে সাইক্লোবেনজাপ্রিন (ফ্লেক্সিরিল), মেটাক্সালোন (স্কেলাস্কিন) বা মেথোকার্বামোলের (রোবাক্সিন) মতো মাসল রিলাক্স‌্যান্ট ব‌্যবহার করে দেখতে পারেন।
পায়ের সব টানকেই ক্র্যাম্প ভেবে ভুল করবেন না। আর তার মতো চিকিৎসাও করাবেন না। যেমন ব‌্যয়াম, শারীরিক কসরত করতে করতে হঠাৎ কাফ মাসলে ব‌্যথা হলে তা ক্র্যাম্প না-ও হতে পারে। হতে পারে সেটা হচ্ছে আথরোক্লেরোসিসের জন‌্য হচ্ছে।

কীভাবে বুঝবেন :
যদি পায়ে ব‌্যথার সঙ্গে সঙ্গে রক্তপ্রবাহে ব্লকেজ দেখা দিয়েছে, গায়ের চামড়া ক্রমশ ফ‌্যাকাসে হয়ে পড়ছে, তবে বুঝবেন সেটা ক্র্যাম্প নয়। আবার কখনও পায়ে টান ধরার পাশাপাশি যদি তা সারহীন মনে হয়, জ্বলুনি লাগে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসককে দেখান। হতে পারে, সেটা ডায়াবিটিসের জন‌্য হচ্ছে। আর যদি কখনও পা অস্বাভাবিক রকম ফুলে যায়, দ্রুত সাবধান হন। কারণ এই উপসর্গ হার্ট, লিভার এবং কিডনির অসুখের লক্ষণ। মনে রাখবেন, মাসল ক্র্যাম্প এমনিতে বিপজ্জনক নয়। কিন্তু হওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মে কমে না গেলে এবং দীর্ঘ সময় ধরে সমস‌্যা তৈরি করলে সাত-পাঁচ না ভেবে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। একমাত্র তাদের দেওয়া পরামর্শই মেনে চলুন।