শারীরিক সমস্যা অনিয়মিত হয়ে পড়লে কী কী সমস্যা হতে পারে জানিয়েছে
‘আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন’–এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে। গবেষণাপত্রে
থেকে জানা যায়, অনিয়মিত শরীরিক সমস্যার কারণে হতে পারে পাঁচটি বড় সমস্যা।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলে, শারীরিক সম্পর্ক হল একটি ব্যায়াম। সুস্থ থাকতে যা
নিয়মিত করা উচিত। কিন্তু এমন সময় বা পরিস্থিতি আসে, যখন জীবন থেকে যৌনতা
হারিয়ে যায়।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, হয়তো সাময়িকভাবে, কারো বা দীর্ঘদিন ধরে
সঙ্গীর সঙ্গে কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। আসুন জেনে নেই অনিয়মিত শরীরিক
সম্পর্কের ফলে হতে পারে যেসব সমস্যা।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন: ইরেক্টাইল ডিসফাংশন দেখা দিতে পারে। জেনে রাখুন,
অন্তত ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন’–এ
প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক
পুরুষাঙ্গকে সুস্থ রাখে।
সপ্তাহে যারা অন্তত একদিন সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সস্পর্ক করেন, তাদের
ক্ষেত্রে আচমকা শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে গেলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের
সম্ভাবনা কিঞ্চিৎ কম, বা দেরিতে আসে।
শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা: শারীরিক সম্পর্ক শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
অর্থাৎ, আচমকা শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে
বাধ্য।
যৌনকামনা: দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ থাকলে যৌনকামনা কমে যেতে
বাধ্য। দেখা গিয়েছে, আচমকা যৌনতা বন্ধ হয়ে গেলে, প্রথম দিকে যৌনতার একটা
প্রবল ইচ্ছা জেগে উঠতে পারে।কিন্তু দীর্ঘদিন যৌনতা না-থাকলে, তা ক্রমশ স্তিমিত হবে। তবে পুরোটাই
নির্ভর করছে, কোন অবস্থায় যৌনতায় ছেদ আসছে? প্রবল মানসিক ঝড়ঝাপটা এলে
যৌনতার ইচ্ছা একেবারে গোড়া থেকেই লুপ্ত হতে পারে।
মনকে হালকা করে: শারীরিক সম্পর্ক মনকে হালকা করে। রিল্যাক্সড থাকতে
সাহায্য করে। স্বাভাবিকভাবেই যৌনতা না-থাকলে সেটি হারিয়ে যাবে জীবন থেকে।
স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা: নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক মানুষের মস্তিষ্ক
অনেক বেশি সচল থাকে। অর্থাৎ, বুদ্ধিতে শান পড়ে নিয়মিত। স্মৃতিশক্তি ও
বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে যৌনতার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে।
আরও সংবাদ: স্ত্রীকে খুশি করার দারুন এবং সহজ কিছু উপায়-
বিবাহিত জীবনে স্ত্রীকে খুশি করা অনেক দরকারী একটি জিনিষ। বস্তুবাদী
জীবনে আমরা মনে করি অর্থই সকল সুখের মূল, কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তা না।
আমরা নিজেরাই অর্থ কে নিজেদের সুখের মূল উপাদান বানিয়ে ফেলেছি। জেনে নিন,
প্রেমিকা বা স্ত্রীকে খুশি করার দারুন এবং সহজ কিছু উপায় !! আমরা যখনই অর্থকে সব কিছুর উপরে প্রাধান্য দিব তখনই আমাদের কাছের
মানুষদের সাথে আমাদের বন্ধন হাল্কা হতে শুরু করে। তাদের অনুভুতির মুল্য তখন
আমরা দিতে ভুলে যাই।
বিশেষ করে আমাদের ঘরের পুরুষ দের মনে রাখতে হবে শুধু অর্থ উপার্জনই
তাদের একমাত্র কাজ নয়। সংসার সুখি করতে মেয়েদের পাশাপাশি পুরুষদেরও অনেক
কিছু করনিও থাকে।
অর্থ এবং বস্তুবাদি জীবনকে দূরে রেখে যে সকল কাজের মাধ্যমে স্ত্রীকে
খুশি করা যায় সেগুলো করার চেষ্টা আমাদের করতে হবে। মনে রাখাটা জরুরি
স্ত্রীকে খুশি রাখা মানে পুরো সংসার টাকে সুন্দর এবং সুখী রাখা।
যে সকল কাজের মাধ্যমে সহজেই স্ত্রীকে খুশি করা যায় সেগুলো হলঃটিম হিসেবে
কাজ করাঃআমাদের সমাজে কিছু নিয়ম অনেককাল ধরে চলে আসছে, যেমন পুরুষেরা ঘরের
কাজ করবে না। ঘরের কাজ এবং বাচ্চা পালা শুধুমাত্র মহিলাদের দায়িত্ব।
এমন ধারনা একদমই ভুল। সুখি সংসার এবং দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী
স্ত্রী দুজনাকে টীম হিসেবে কাজ করতে হবে। সারাদিন অফিস করে এসে ঘরের কাজে
সাহায্য করতে মন নাও চাইতে পারে তবে মনে রাখাটা জরুরি। আপনি বাইরে পরিশ্রম
করলেও সারাদিন আপনার স্ত্রীও কিন্তু ঘরে পরিশ্রম করেছেন।
সে ক্ষেত্রে রাতের কিছু কাজ ভাগ করে নেওয়াটা খুব কঠিন এবং পরিশ্রমের
কিছু হবে না। যেমনঃ বিছানা গোছানো, মশারি টাঙ্গানো, থালাবাসন যায়গা মত
গুছিয়ে রাখা, বাচ্চাদের পড়া একটু দেখিয়ে দেওয়া, বোতলে পানি ভরা ইত্যাদি
কাজে স্বামীরা খুব অল্প পরিশ্রম দিয়েই সাহায্য করতে পারেন।
স্ত্রীর সমস্যার কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন তবে সরাসরি সমাধান দিয়ে দিবেন
নাঃগবেষনায় দেখা গেছে কোন পারিবারিক বা সাংসারিক সমস্যায় পুরুষদের চেয়ে
মেয়েরা অনেক বুঝে সমাধানে আস্তে পারে।
কিন্তু মেয়েদের চিন্তা ভাবনাগুলো তারা তাদের পার্টনারদের সাথে আলোচনা
করে নিতেই বেশি পছন্দ করে। আজকাল ফেসবুকের যুগে স্বামীরা স্ত্রীদের কথা মন
দিয়ে শুনবে এমন আশা করাটাও বোকামি।
তবে প্রতিটা স্বামীর উচিৎ সাংসারিক শান্তি রক্ষার্থে স্ত্রীর সমস্যার
কথাগুলো মন দিয়ে শোনা এবং তার মতামত প্রকাশ করা। তবে নিজের মত প্রকাশের সময়
হুট করে একটা কিছু বলে না বসে বুঝিয়ে বললে বিষয়টা ভালো হয়।
কারন হুটহাট মতামত দিলে স্ত্রীদের মনে হতে পারে বিষয়টি না বুঝেই বা সেটা নিয়ে চিন্তা না করেই আপনি আপনার মতামত প্রকাশ করলেন।
নরম ভাবে স্ত্রীদের সাথে কথা বলুনস্ত্রীদের মুখে হাসি ফোটানো খুব কঠিন
কিছু না। নরম কন্ঠে তাদের সাথে কথা বলুন। তাদের কে জানান আপনি তার সাথে
সংসার করে কতটা সুখি। হাজার টাকা দিয়েও সেই হাসিটা আপনি দেখতে পারবেন না যা
সেই মুহুর্তে আপনি দেখবেন।
স্ত্রীর জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে জানুনঃ বর্তমান যুগে প্রতিটা মেয়েরই কোন
না কোন স্বপ্ন থাকে। বিয়ের পর অর্ধের এর চেয়েও বেশি মেয়েদের স্বপ্ন ভেঙ্গে
যায় শুধুমাত্র স্বামী এবং শশুরবাড়ির সাপোর্ট না থাকায়।
আপনি শুরুতেই জেনে নিন আপনার স্ত্রীর জীবনের লক্ষ্য কী, তাকে তার
লক্ষ্যে পৌছানোর ব্যাপারে আপনি কিভাবে সাহায্য করতে পারেন সেটা ভাবুন।
অনেকে মেয়েই তার পড়াশোনা বিয়ের পরেও চালিয়ে যেতে চায় কিন্তু সাংসারিক
কাজের চাপে সেটা পেরে উঠে না, আপনি প্রতিদিন তাকে কিছু সময় ঠিক করে দিন
পড়ার জন্য এবং সেই সময় টুকু তে তাকে যেন অন্য কোন কাজ করতে না হয় সেদিকে
নজর রাখুন।
অনেকে শুধুমাত্র ভাল বউ এবং মা হতে চায়। তাদের কেও আপনি সাহায্য করতে
পারে, সাংসারিক কাজ গুলো গুছিয়ে উঠার জন্য কিভাবে কী করা যায় আলাপ আলোচনা
করুন, ভালো ভালো টিপস এবং সহজে কাজ করা যায় এমন জিনিষগুলো হাতের কাছে এনে
দিন। তাকে এক্সপার্ট হওয়ার জন্য সাহায্য করুন।
স্ত্রীর সৌন্দর্যের এবং কাজের প্রশংসা করুনঃ নারীরা ঘরের কাজ করবে এখানে
আবার প্রশংসার কী আছে? কথাটা একদমই ভুল। নারীরা ঘরে হোক বা বাইরে অনেক
পরিশ্রম করে থাকে প্রতি নিয়ত যেটার বিনিময়ে তারা সামান্য এটেনশানও পায় না।
অথচ তাদের কাজের প্রতি আগ্রহ তৈরির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জীবন
সঙ্গীর প্রশংসা।
জি হ্যা, সামান্য প্রশংসাই তাদের কর্ম স্পৃহা বাড়িয়ে তুলতে পারে
অনেকাংশে। বাড়িতে ঢুকে সাফ করা ঘর বাড়ি দেখে তার কাজের প্রশংসা করুন। খাবার
যদি খেতে খুব খারাপ না হয় তবে তাকে বলুন খাবার খেয়ে আপনার মজা লেগেছে।
দেখবেন এরপর সে আসলেই মজাদার কিছু আপনার জন্য রান্নার চেষ্টা করছে।
একই ভাবে দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীকে খুশি করতে তার সৌন্দর্যের প্রশংসাও
করুন। সে যখনি নতুন কোন জামা বা সুন্দর কোন জামা পরে বা সেজে গুজে থাকে
তাকে সুন্দর লাগছে বলুন। আপনার এই একটি মাত্র কথা আপনার স্ত্রীর
আত্ববিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে বহুগুন।
স্ত্রীকে বলুন আপনি তাকে ভালবাসেনঃ এই একটি কথার মাধ্যমে আপনি আপনার
স্ত্রীকে অনেক অনেক বেশি খুশি করতে পারেন। মেয়েরা মুখে প্রশংশা বেশি পছন্দ
করে। তাকে বলুন আপনি তাকে কেন এত ভালোবাসেন। আপনার জীবনে তার অবস্থান তার
মুল্য তাকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলুন।
স্ত্রীকে সরি বলুনঃ স্ত্রীকে আপনি যে শ্রদ্ধা করেন সেটা তাকে বুঝাবেন
কোন ভুল হয়ে গেলে সরি বলার মাধ্যমে। পুরুষদের দ্বারা এমন অনেক সময় অনেক কাজ
হয়ে যায় যেগুলো স্ত্রীরা সহজে মেনে নিতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে সরি বলে
তাকে স্বাভাবিক করুন। আপনি বোঝান আপনি তাকে শ্রদ্ধা করেন। এভাবেও সেও
আপনার প্রতি অনেক উচ্চ ধারনা পোষন করবে।
আপনার প্রতিটি কাজের দায় দায়িত্ব নিজে নিনঃ আপনি যে কাজগুলো করবেন
প্রতিটি কাজের দায় দায়িত্ব আপনি নিজে বহন করুন। নিজের কাজগুলো নিজে দায়িত্ব
সহকারে সম্পন্ন করুন।
এতে করে আপনার প্রতি স্ত্রীর শ্রদ্ধা আরো বেড়ে যাবে। আবার অনেক সময় দেখা
যায় কোন কাজ করার পর সেটি সফল ভাবে না হলে স্বামীরা স্ত্রীদের কে দোষারোপ
করতে থাকেন, এই বলে যে, “তোমার জন্য এটা হয়নি”। এটা মোটেও উচিৎ নয়।
স্ত্রীর জন্য আলাদা ভাবে কিছু অর্থ বরাদ্দ করুনঃ বেশিরভাগ পুরুষ মানুষই
অর্থ উপার্জনের পিছে নিজের জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে থাকেন, তবে এই
বিষয়টি অনেকেরই মাথায় আসে না যে নিজের স্ত্রীর জন্য আলাদা ভাবে কিছু অর্থ
বরাদ্দ করা দরকার। হোক সেটা তার পছন্দের কিছু কিনে দেওয়ার জন্য অথবা তাকে
নিয়ে দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসার জন্য।
এমনো হতে পারে আপনি তার জন্য আলাদা ভাবে অর্থটি জমাতে থাকলেন এবং
পরিমানটি একটু বড় হলে পরে তার হাতে সেটি তুলে দিলেন সারপ্রাইজ গিফট হিসেবে।
এই উদ্দেশ্যে আপনি দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীকে খুশি করতে হালাল ভাবে কিছু
এক্সট্রা উপার্জনের ব্যবস্থাও করতে পারেন চাইলে। যেমনঃ টিউশন, ফ্রি
ল্যান্সিং ইত্যাদি।
0 comments: