সুগন্ধী মশলা হিসেবে তেজপাতার সুনাম অনেক যুগের। কিন্তু জানেন কি, তেজপাতা আপনাকে সুন্দর করে তুলতেও রাখতে পারে চমৎকার ভূমিকা। জ্বি, ঠিকই বলছি। রূপচর্চায় তেজপাতা দারুণ একটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। চলুন দেখে নিই, তেজপাতার সাহায্যে কীভাবে রূপচর্চা করা যেতে পারে।
১। একটি প্যানে ২ কাপ পানিতে ৫ টি শুকনো তেজপাতা নিয়ে ঢেকে জ্বাল দিন। এরপর ঢাকনা খুলে ২ মিনিট জ্বাল দিয়ে একটি সসপ্যানে নামিয়ে নিন। এরপর একটি তোয়ালে দিয়ে মাথাসহ সসপ্যানটি ঢেকে ভাপ আপনার ত্বকে নিন। এভাবে মিনিট দশেক ভাপ নিলেই যথেষ্ট। সপ্তাহে ২বার এভাবে করুন, ব্রণ ও রিংকেল সমস্যার সমাধান থাকবে না।
২। তেজপাতার অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের যে কোনো ইনফেকশন দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ছোটখাটো কাটা ছেঁড়া, জখমের দাগ এবং পোকামাকড়ের কামড়ের সমস্যা সহজেই দূর করতে পারেন কাঁচা তেজপাতার রসের মাধ্যমে।
৩। পানিতে তেজপাতা ভালো করে ফুটিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল পড়ার সমস্যা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও তেজপাতার তেল মাথার ত্বকে লাগালে চুলের খুশকি সমস্যা থেকেও দ্রুত রেহাই পাবেন।
৪। ৫০ গ্রাম তেজপাতা গুঁড়ো করে নিয়ে ৪০০ মিলি পানিতে জ্বাল দিতে থাকুন, যতোক্ষণ না ১০০ মিলিতে পৌঁছায়। শুকিয়ে এলে ছেঁকে পানি আলাদা করে নিন। এই পানি চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে ম্যাসেজ করে নিন। ৩-৪ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। ব্যস, উকুন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
৫। তেজপাতা গুঁড়ো করে টুথপেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন। দেখবেন খুব দ্রুত দাঁতের হলদেটে দাগ একেবারেই দূর হয়ে গিয়েছে। তবে ঘন ঘন এই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না।
৬। কাঁচা তেজপাতা অলিভ অয়েলে ফুটিয়ে তেজপাতার তেল তৈরি করে নিতে পারে। এই তেল দেহে ব্যবহার করলে মশা থাকবে দূরে এবং মশার কামড়ের জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
0 comments: