হাতের কবজি থেকে হাতের তেলো ও আঙুলগুলো অবশ হয়ে আসা, ঝিঁঝিঁ করা, কখনো
ব্যথা হওয়া বা ফুলে যাওয়া—এই সমস্যার নাম কারপাল টানেল সিনড্রোম। মেয়েদের
মধ্যে এই সমস্যার প্রবণতা তিন গুণ বেশি। বিশেষ করে, গর্ভাবস্থায় প্রায়ই এই
সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দেয়।
কেন হয়?কবজিতে একটা ছোট্ট টানেল বা গহ্বর আছে, যার নাম কারপাল টানেল। এই টানেল দিয়ে বিভিন্ন শিরা ও স্নায়ু হাতে প্রবেশ করে। এর অন্যতম হলো সিডিয়ান নার্ভ। কোনো কারণে এই টানেলে এই নার্ভ চাপ খেলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ফুলে যাওয়া, পানি জমা বা চাপ পড়ার কারণে এমন হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে ও মেনোপজের পর নারীদের এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও লুপাস-জাতীয় রোগ এর ঝুঁকি বাড়ায়। কখনো একই ধরনের হাতের কাজ বারবার করার কারণে (যেমন সেলাই, বোনা, গলফ খেলা বা বেহালা বাজানো) টানেলের ওপর চাপ পড়ে। স্থূলতা একটি অন্যতম কারণ।
কেন হয়?কবজিতে একটা ছোট্ট টানেল বা গহ্বর আছে, যার নাম কারপাল টানেল। এই টানেল দিয়ে বিভিন্ন শিরা ও স্নায়ু হাতে প্রবেশ করে। এর অন্যতম হলো সিডিয়ান নার্ভ। কোনো কারণে এই টানেলে এই নার্ভ চাপ খেলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ফুলে যাওয়া, পানি জমা বা চাপ পড়ার কারণে এমন হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে ও মেনোপজের পর নারীদের এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও লুপাস-জাতীয় রোগ এর ঝুঁকি বাড়ায়। কখনো একই ধরনের হাতের কাজ বারবার করার কারণে (যেমন সেলাই, বোনা, গলফ খেলা বা বেহালা বাজানো) টানেলের ওপর চাপ পড়ে। স্থূলতা একটি অন্যতম কারণ।
কী চিকিৎসা
কারপাল টানেল সিনড্রোমের চিকিৎসা নানাভাবে হতে পারে। যেমন
ব্যথানাশক বা স্নায়ুর ব্যথা কমানোর ওষুধ, বিশ্রাম, স্পিন্ট বেঁধে দেওয়া বা
ফিজিওথেরাপি। কখনো কখনো শল্য চিকিৎসারও দরকার হতে পারে। রক্তে শর্করা
নিয়ন্ত্রণ করুন। থাইরয়েডের সমস্যা আছে কি না দেখে নিন।
কীভাবে কমানো যায়
যাঁরা ডেস্কে বসে কাজ করেন, লেখেন বা কম্পিউটারে টাইপ
করেন, তাঁরা ১৫ মিনিট পরপর সামান্য বিরতি নিতে পারেন। হাতের বাহু যেন কাজের
সময় বিশ্রামে থাকে। টেবিল ও হাতের ব্যবধান ঠিক করে নিন। মাঝে মাঝে টাইপ
করা বা লেখার বিরতিতে হাতের ব্যায়াম সেরে নিন। শক্ত করে হাত মুঠো করুন,
কয়েক সেকেন্ড পর পুরো মুঠো খুলে হাত টানটান করে স্ট্রেচ করুন। ইচ্ছা করলে
এই ব্যায়ামে একটি স্কুইজ হয়ে যাওয়া বল ব্যবহার করতে পারেন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর ঢাকা
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর ঢাকা
0 comments: