দাঁত ব্রাশ করার সময় বা শক্ত কিছু খেতে গেলে যদি মাড়ি থেকে রক্ত বের হয়,
তবে সচরাচর মাড়ির রোগ জিনজিভাইটিস হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আমাদের মুখের
ভেতর যে ব্যাকটেরিয়া থাকে, সেগুলো খাবারের সঙ্গে মিশে একধরনের আঠালো প্রলেপ
তৈরি করে থাকে, যাকে বলা হয় ডেন্টাল প্ল্যাক বা দন্তমল। যদি দাঁত ব্রাশ
করার সময় এই দন্তমল নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করা না হয়, তবে তা দীর্ঘদিন জমে
মাড়িতে প্রদাহ সৃষ্টি করে, মাড়ি ফুলে যায় ও রক্ত বের হয়।
* মাড়ির প্রদাহ রোধ করতে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ফ্লোরাইড-যুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে প্রতিবার খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করতে হবে। রাতে দাঁত ব্রাশের আগে ডেন্টাল ফ্লস (এক ধরনের সিল্ক সুতা) দিয়ে দুই দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা বের করে আনা উচিত। সেই সঙ্গে জীবাণুনাশক তরল মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যায়।
* হঠাৎ করে নতুনভাবে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার শুরু করলে বা নতুন ধরনের ফ্লস ব্যবহার করলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বিচিত্র কিছু নয়। ডেন্টাল ফ্লসের ব্যবহার অভ্যাসে পরিণত হতে একটু সময় লাগে।
* মাড়ির প্রদাহ রোধ করতে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ফ্লোরাইড-যুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে প্রতিবার খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করতে হবে। রাতে দাঁত ব্রাশের আগে ডেন্টাল ফ্লস (এক ধরনের সিল্ক সুতা) দিয়ে দুই দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা বের করে আনা উচিত। সেই সঙ্গে জীবাণুনাশক তরল মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যায়।
* হঠাৎ করে নতুনভাবে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার শুরু করলে বা নতুন ধরনের ফ্লস ব্যবহার করলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বিচিত্র কিছু নয়। ডেন্টাল ফ্লসের ব্যবহার অভ্যাসে পরিণত হতে একটু সময় লাগে।
* টুথব্রাশ বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত বা আঁকাবাঁকা থাকলে কিংবা দীর্ঘদিনের ক্ষয়ে
যাওয়া টুথ ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করলে আঘাতের কারণে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়তে পড়ে।
একটি টুথব্রাশ ছয় মাসের বেশি ব্যবহার করা ভালো নয়।
* যাঁরা ধূমপান করেন বা জর্দা গুল ব্যবহার করেন, তাঁদের মাড়ির প্রদাহ
অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ। ধূমপান ও তামাকের ব্যবহারের কারণে ঘা বা প্রদাহ
শুকাতেও দেরি হয়।
* অন্যান্য রোগের যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ, ক্যানসার,
লিভার ও কিডনি রোগের কারণেও মাড়ির প্রদাহ বেশি হয়। এসব রোগ দেহের প্রতিরোধ
শক্তিকে কমিয়ে ফেলে। এদের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হতে হবে। ছয় মাস অন্তর
দাঁতের স্কেলিং ও পরীক্ষা করা ভালো। মানসিক রোগ, অ্যালার্জি ও উচ্চ
রক্তচাপের ওষুধ মুখের শুষ্কতা তৈরি করে বলে মাড়ির প্রদাহ বেশি হয়। মুখের
আর্দ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত কিছু টক জাতীয় ফল (আমলকী, কমলা, জাম্বুরা,
আমড়া, লেবুর রস, কামরাঙা, জলপাই, বরই ইত্যাদি) এবং প্রচুর পানি পান করা
ভালো।
* গর্ভাবস্থায় মাড়ি থেকে রক্ত পড়া খুব পরিচিত সমস্যা। কারণ, এই সময় মাড়ি
সংবেদনশীল হয়ে যায়। অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের তিন বেলা আহারের পর দাঁত ব্রাশ ও
জীবাণুনাশক মাউথওয়াশ ব্যবহার করা ও ডেন্টাল চেকআপ নিয়মিত করা উচিত।
* রক্ত জমাট হওয়ার রোগ যেমন: হিমোফেলিয়া থাকলে কিংবা রক্ত তরলীকরণ ওষুধ
(এসপিরিন, ক্লোপিড) খেলে হঠাৎ মাড়ির সমস্যা ছাড়াই মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে
পারে।
0 comments: