নারী ও পুরুষের বিয়ের গাঁটছড়া বাঁধার মুহূর্তটি সবাই স্মৃতির অ্যালবামে
ধরে রাখতে চান। জীবনের সেরা এই ক্ষণটি ফ্রেমে বন্দী করে রাখতে বিয়ের ছবি
তোলা বা ওয়েডিং ফটোগ্রাফি এখন দেশে-বিদেশে সমান জনপ্রিয়। বিয়ের আয়োজনের
বাজেটে এখন গয়না, পোলাও-কোরমা, দরজিবাড়ির খরচ ইত্যাদির পাশাপাশি বিয়ের ছবি ও
ভিডিওধারণও স্থান পাচ্ছে। আর সেই কাজটি ভালোভাবে করাতে সবাই চান বিয়ের ছবি
তোলায় অভিজ্ঞ আলোকচিত্রী বা ওয়েডিং ফটোগ্রাফারের ওপর আস্থা রাখতে।
বিয়ের অনুষ্ঠানের স্মৃতি, দামি খাবার, জমকালো পোশাক—সবই
ঝাপসা হয়ে যাবে বছর কয়েক পরেই! শুধু ছবিগুলোই অমূল্য স্মৃতি হয়ে চোখের
সামনে জ্বলজ্বল করে প্রাণবন্ত হয়ে থাকবে। বিয়ের হাজারো মুহূর্ত দুর্লভ
সুখস্মৃতি হয়ে থাকবে কালে কালে।
এখনকার বর-কনেরা অনেক সচেতন ও আধুনিক চিন্তাধারার। আগের
কনেরা মাটি থেকে নিজের মুখখানি ওপরে তুলতেই চাইতেন না। মুক্তঝরা হাসিটুকু
ঘোমটার মধ্যেই মিলিয়ে যেত। এখন আর তেমনটি নেই। এখন বিয়ের মূল অনুষ্ঠান,
গায়েহলুদ, বউভাত আর আকদে আটকে নেই ছবি তোলা। বিয়ের ছবি তোলায় নতুন যোগ
হয়েছে বিয়ের আগে (প্রি-ওয়েডিং) এবং বিয়ের পরের (পোস্ট ওয়েডিং) ফটোশুট।
বিয়ের সব আয়োজনের ভালো ছবি পেতে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা
দরকার। বর-কনে ও আলোকচিত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া হতে হবে ভালো। আলোকচিত্রীকে বর ও
কনের বন্ধু হয়ে যেতে হবে।
বুকিং দেওয়ার পরই রব ও কনের সঙ্গে ফটোগ্রাফারের ফটো আড্ডায়
বসা জরুরি। যাতে প্রাথমিক জড়তা কেটে যায়। মূল অনুষ্ঠানের আগেই চমৎকার কোনো
স্থানে (লোকেশন) সারা দিনের জন্য ভালো আলোতে ছবি তোলা দিয়ে প্রি-ওয়েডিংয়ের
শুরু হতে পারে।
লো ছবির জন্য কনের প্রস্তুতিসেরা
ছবির জন্য বর-কনের সুন্দর পরিকল্পনা ও ভালো প্রস্তুতি প্রয়োজন। কনেরা অনেক
সময়ই বিভিন্ন কারণে বিয়ের আগে মন খারাপ করে রাখেন, যেটা একেবারে এড়িয়ে চলা
উচিত। বিয়ের সময় হাসিখুশি থাকাটা জরুরি। পর্যাপ্ত পানি পান, তাজা ফল খাওয়া
বা ফলের রস পান করলে সতেজ থাকা যাবে। অবশ্যই তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে
হবে।
* সাজের জন্য পছন্দের পারলারে সাধ্যের মধ্যে একটি প্রি-ব্রাইডাল প্যাকেজ বেছে নিতে পারেন।
* চুলের যত্ন, ত্বক ও ফিটনেসের ওপর বিশেষ দৃষ্টি দিন।
* কোনো অসুস্থতা থাকলে আগেভাগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* পোশাক নির্বাচনে নিজেদের প্রিয় রং নিয়ে হবু বরের সঙ্গে পরামর্শ করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে আপনার আলোকচিত্রীর সঙ্গেও পরামর্শ করুন, যার প্রতিফলন দেখা যাবে বিয়ের ছবিতে।
বরেরা যা খেয়াল রাখবেন
* বরেরা চুল কাটার দিকে খেয়াল রাখুন। পছন্দের সেলুন বা মেনস পারলারে গিয়ে অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে চুল কাটান। এমনভাবে চুল কাটাবেন, যাতে আপনার মুখমণ্ডলের সঙ্গে চুল মানিয়ে যায়।
* মুখের ত্বক উজ্জ্বল রাখার জন্য ব্রাইটনিং ফেসিয়াল এক দিন আগে করলেও চলবে। আর সেই সঙ্গে পেডিকিউর-ম্যানিকিউরও করে নিতে পারেন। এতে আপনার সতেজভাবে ছবিতে ফুটে উঠবে।
* বরেরা মেকআপ না করলেই ভালো। মেকআপের কারণে ছবিতে পরে নিজেকে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে।
বিয়ে মানে তো আপনজন ও প্রিয়জনদের মহাসমাবেশ, বর্ণাঢ্য বিনোদন আর সম্প্রীতির অনবদ্য আয়োজন। এই দুর্লভ মুহূর্ত সোনালি ফ্রেমে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন সৃজনশীল আলোকচিত্রী, যাঁর জাদুকরি ক্লিকে উঠে আসবে আপনার সুখময় স্মৃতির মুহূর্তগুলো।
লেখক: আলোকচিত্রী, প্রধান নির্বাহী, ওয়েডিং কালারস
* সাজের জন্য পছন্দের পারলারে সাধ্যের মধ্যে একটি প্রি-ব্রাইডাল প্যাকেজ বেছে নিতে পারেন।
* চুলের যত্ন, ত্বক ও ফিটনেসের ওপর বিশেষ দৃষ্টি দিন।
* কোনো অসুস্থতা থাকলে আগেভাগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* পোশাক নির্বাচনে নিজেদের প্রিয় রং নিয়ে হবু বরের সঙ্গে পরামর্শ করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে আপনার আলোকচিত্রীর সঙ্গেও পরামর্শ করুন, যার প্রতিফলন দেখা যাবে বিয়ের ছবিতে।
বরেরা যা খেয়াল রাখবেন
* বরেরা চুল কাটার দিকে খেয়াল রাখুন। পছন্দের সেলুন বা মেনস পারলারে গিয়ে অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে চুল কাটান। এমনভাবে চুল কাটাবেন, যাতে আপনার মুখমণ্ডলের সঙ্গে চুল মানিয়ে যায়।
* মুখের ত্বক উজ্জ্বল রাখার জন্য ব্রাইটনিং ফেসিয়াল এক দিন আগে করলেও চলবে। আর সেই সঙ্গে পেডিকিউর-ম্যানিকিউরও করে নিতে পারেন। এতে আপনার সতেজভাবে ছবিতে ফুটে উঠবে।
* বরেরা মেকআপ না করলেই ভালো। মেকআপের কারণে ছবিতে পরে নিজেকে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে।
বিয়ে মানে তো আপনজন ও প্রিয়জনদের মহাসমাবেশ, বর্ণাঢ্য বিনোদন আর সম্প্রীতির অনবদ্য আয়োজন। এই দুর্লভ মুহূর্ত সোনালি ফ্রেমে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন সৃজনশীল আলোকচিত্রী, যাঁর জাদুকরি ক্লিকে উঠে আসবে আপনার সুখময় স্মৃতির মুহূর্তগুলো।
লেখক: আলোকচিত্রী, প্রধান নির্বাহী, ওয়েডিং কালারস
0 comments: