সম্পর্কে প্রতারিত হওয়ার মতো কষ্টকর অভিজ্ঞতা খুব কমই রয়েছে জীবনে। অপমান, কষ্ট, বিশ্বাসভঙ্গ হওয়ার যন্ত্রণা ভিতর থেকে এতটাই মর্মাহত করে তোলে যে, সেই ক্ষত ভুলতে সারা জীবন লেগে যায়। এই অবস্থায় ক্ষমা করে আবার সুযোগ দেওয়া উচিত, না সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসা উচিত, তা বুঝে উঠতে পারি না আমরা অনেকেই। আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে ক্ষমা করতে চান তাহলে তার আগে নিজেকে এই ৫ প্রশ্ন অবশ্যই করুন-
১। আগেও কি তার সঙ্গীকে প্রতারণা করার ইতিহাস রয়েছে? যদি এমনটা হয়ে থাকে তা হলে কিন্তু ক্ষমা করার বিশেষ প্রশ্ন নেই। প্রতারণা করা তাদের অভ্যাস। যতক্ষণ না কেউ তাদের সঙ্গে এমনটাই করছে বা এই কারণে সম্পর্ক শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ এর কোনও সমাধান নেই।
২। কেন প্রতারণা করেছিল? যদি আপনাদের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের হয় তাহলে এই কারণ অবশ্যই খতিয়ে দেখুন। নিজেকে তার জায়গায় রেখে দেখুন। উনি যা অনুভব করেন বা করেছিলেন তা বোঝার চেষ্টা করুন। এতে প্রতারণার কারণ বুঝতে, ভবিষ্যতে কী ভাবে সমস্যার সমাধান করবেন তা বুঝতে, পরিকল্পনা করতে, ক্ষমা করার যুক্তি খুঁজতে সুবিধা হবে।
৩। ভবিষ্যতে একই পরিস্থিতি হলে সে আবার এ রকম করতে পারেন? যদি প্রতারণা করার কারণ বুঝতে পারেন তা হলে খোলাখুলি কথা বলুন। এমনটা যে ভবিষ্যতে আবার হবে না তার কোনও গ্যারান্টি আছে কি? যদি মন থেকে সায় না পান, বিশ্বাস করতে না পারেন তা হলে না এগনোই ভাল। এতে ভবিষ্যতে নিজেরই মানসিক শান্তি নষ্ট হবে।
৪। এই ঘটনার সময় আপনাদের সম্পর্ক কেমন ছিল? সম্পর্কে কোনও সমস্যা, দূরত্ব, অখুশি, একাকিত্বে বা সন্দেহপ্রবণের মত ব্যাপারগুলি ছিল কিনা একবার ভেবে দেখুন। এই কারণগুলো বুঝতে পারলে বা খতিয়ে দেখলে ক্ষমা করা অনেক সহজ হবে। দু’জনে এক সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে, রিলেশনশিপ কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারেন। সম্পর্ককে আরেক বার সুযোগ দিতে পারেন।
৫। সে কি ভুলের জন্য লজ্জিত বা ক্ষমাপ্রার্থী? যদি এই ভুলের পর উনি অপরাধ বোধে ভোগেন তা হলে কিন্তু আপনার মতো উনিও কষ্ট পাচ্ছেন। যদি লজ্জিত না হন তা হলে কিন্তু এই কাজ আবারও করতে পারেন।
0 comments: