আফরিনা ফেরদৌস :
আদা সাধারণত আমরা মসলা হিসেবে খেয়ে থাকি। বিভিন্ন পদের তরকারিতে আদা বেটে দেয়া হয়। এছাড়া আদা কুচিয়ে লাল চা খাওয়াও বেশ ভালো। কিন্তু আমরা জানি কী এই আদা আমাদের শরীরের জন্য কতখানি উপকারী। আদা আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। তার জন্য আমাদের জানতে হবে রোগ হেকে মুক্তির জন্য আদা কীভাবে ব্যবহার করা উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
রক্তে চিনির পরিমাণ কমানো:
আদা মানুষের শরীরে এন্টি ডায়াবেটিসের কাজ করে। অর্থাৎ এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২ গ্রাম আদার গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে রক্তের চিনি ১২ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
কাশি বা কফ নিরসন
কফ কমানোর ক্ষেত্রে আদা একটি প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে আসছে বহু বছর ধরে। আদা স্লাইস করে কেটে নিয়ে পানিতে দিয়ে ফুটাতে হবে। ফুটন্ত অবস্থায় মিনিট পাঁচেক রাখতে হবে। তারপর চায়ের মতো করে খেয়ে নিতে হবে গরম আদা পানি। এতে গলা পরিষ্কার হবে এবং কফও কমে যাবে।
দাঁতে ব্যথা নিরসণ
দাঁতে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে বহুকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে এই মশলাটি। দাঁতের যে অংশে ব্যথা করছে সেখানে একটু আদা ছেঁচে দিয়ে দিন। সঙ্গে গরম পানিতেও ছেঁচা আদা দিয়ে খেয়ে নিন। ভালো উপকার পাবেন।
মাংসপেশি বা কালশিটে ব্যথা কমাতে
মাংসপেশির ব্যথা কমাতে আদার বেশ ভূমিকা রয়েছে। প্রতিদিন ২ গ্রাম করে আদার গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খান। এভাবে একটানা এগার দিন খেতে থাকুন। দেখবেন আপনার মাংসপেশির ব্যাথা কমে যাবে।
ইনফেকশন রোধ
আদা ইনফেকশন রোধের ক্ষমতা রাখে। একটি তাজা আদায় আরএসভি নামক ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকে।
মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেন কমাতে
মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেন কমাতে আদা খুবই কার্যকরী। আদা মূলত বমি বমি ভাব রোধ করতে সহায়তা করে। যাদের অনেক মাথা ব্যথা করে তাদের বমি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই আদা এক্ষেত্রে খুব উপকারী।
কোলেস্টেরল কমানো
রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হলে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রতিদিন ৩ গ্রাম করে আদা পানিতে মিশিয়ে খাবেন, এটি কোলেস্টেরলের অধিক মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে
বেশিরভাব মেয়েদের পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা হয়। এই ব্যথা কমাতে ঘরোয়া উপায় বেছে নিন। আদা ছেঁচে গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান দিনে দুই থেকে তিনবার। দেখবেন পিরিয়ডের ব্যথা কমে গেছে।
মস্তিষ্ক উন্নত করা
আদা মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে দ্রুততর এবং উন্নত করে। প্রায় ৬০ জন মহিলার ওপর করা একটি গবেষণা থেকে পাওয়া যায়, প্রতিনিয়ত আদা খাওয়ার ফলে তাদের কাজের গতি ও স্মৃতিশক্তি বেড়েছে।
হজম শক্তি বাড়ায়
দীর্ঘস্থায়ী হজমের সমস্যার কারণে পেটের ওপরের অংশে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। যেটা অস্বস্তিরও বেশ কারণ। অনেক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণেও হজমজনিত সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন আদা গুঁড়ার স্যুপ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি আপনার সম্পূর্ণ পেটকে ১২ থেকে ১৬ মিনিটের মধ্যে খালি করে দেবে। হজমজনিত সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।
ক্যানসার প্রতিরোধ
আদা মানুষের শরীরের ছোট ছোট রোগের প্রতিরোধে সাহায্য করে অর্থাৎ এটি কোনো বড় রোগের প্রশ্রয় দেয় না। এছাড়া একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, নিয়মিত আদা খেলে ক্যানসারের সেল শরীরে বাসা বাধতে পারে না। আদা শুধুমাত্র মসলা হিসেবে ব্যবহার না করে একে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রাখুন। সুস্থ থাকুন।
আদা সাধারণত আমরা মসলা হিসেবে খেয়ে থাকি। বিভিন্ন পদের তরকারিতে আদা বেটে দেয়া হয়। এছাড়া আদা কুচিয়ে লাল চা খাওয়াও বেশ ভালো। কিন্তু আমরা জানি কী এই আদা আমাদের শরীরের জন্য কতখানি উপকারী। আদা আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। তার জন্য আমাদের জানতে হবে রোগ হেকে মুক্তির জন্য আদা কীভাবে ব্যবহার করা উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আদা মানুষের শরীরে এন্টি ডায়াবেটিসের কাজ করে। অর্থাৎ এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২ গ্রাম আদার গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে রক্তের চিনি ১২ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
কাশি বা কফ নিরসন
কফ কমানোর ক্ষেত্রে আদা একটি প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে আসছে বহু বছর ধরে। আদা স্লাইস করে কেটে নিয়ে পানিতে দিয়ে ফুটাতে হবে। ফুটন্ত অবস্থায় মিনিট পাঁচেক রাখতে হবে। তারপর চায়ের মতো করে খেয়ে নিতে হবে গরম আদা পানি। এতে গলা পরিষ্কার হবে এবং কফও কমে যাবে।
দাঁতে ব্যথা নিরসণ
দাঁতে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে বহুকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে এই মশলাটি। দাঁতের যে অংশে ব্যথা করছে সেখানে একটু আদা ছেঁচে দিয়ে দিন। সঙ্গে গরম পানিতেও ছেঁচা আদা দিয়ে খেয়ে নিন। ভালো উপকার পাবেন।
মাংসপেশি বা কালশিটে ব্যথা কমাতে
মাংসপেশির ব্যথা কমাতে আদার বেশ ভূমিকা রয়েছে। প্রতিদিন ২ গ্রাম করে আদার গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খান। এভাবে একটানা এগার দিন খেতে থাকুন। দেখবেন আপনার মাংসপেশির ব্যাথা কমে যাবে।
ইনফেকশন রোধ
আদা ইনফেকশন রোধের ক্ষমতা রাখে। একটি তাজা আদায় আরএসভি নামক ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকে।
মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেন কমাতে
মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেন কমাতে আদা খুবই কার্যকরী। আদা মূলত বমি বমি ভাব রোধ করতে সহায়তা করে। যাদের অনেক মাথা ব্যথা করে তাদের বমি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই আদা এক্ষেত্রে খুব উপকারী।
কোলেস্টেরল কমানো
রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হলে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রতিদিন ৩ গ্রাম করে আদা পানিতে মিশিয়ে খাবেন, এটি কোলেস্টেরলের অধিক মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে
বেশিরভাব মেয়েদের পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা হয়। এই ব্যথা কমাতে ঘরোয়া উপায় বেছে নিন। আদা ছেঁচে গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান দিনে দুই থেকে তিনবার। দেখবেন পিরিয়ডের ব্যথা কমে গেছে।
মস্তিষ্ক উন্নত করা
আদা মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে দ্রুততর এবং উন্নত করে। প্রায় ৬০ জন মহিলার ওপর করা একটি গবেষণা থেকে পাওয়া যায়, প্রতিনিয়ত আদা খাওয়ার ফলে তাদের কাজের গতি ও স্মৃতিশক্তি বেড়েছে।
হজম শক্তি বাড়ায়
দীর্ঘস্থায়ী হজমের সমস্যার কারণে পেটের ওপরের অংশে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। যেটা অস্বস্তিরও বেশ কারণ। অনেক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণেও হজমজনিত সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন আদা গুঁড়ার স্যুপ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি আপনার সম্পূর্ণ পেটকে ১২ থেকে ১৬ মিনিটের মধ্যে খালি করে দেবে। হজমজনিত সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।
ক্যানসার প্রতিরোধ
আদা মানুষের শরীরের ছোট ছোট রোগের প্রতিরোধে সাহায্য করে অর্থাৎ এটি কোনো বড় রোগের প্রশ্রয় দেয় না। এছাড়া একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, নিয়মিত আদা খেলে ক্যানসারের সেল শরীরে বাসা বাধতে পারে না। আদা শুধুমাত্র মসলা হিসেবে ব্যবহার না করে একে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রাখুন। সুস্থ থাকুন।
0 comments: