Monday, December 5, 2016

শুধু একটু হাসি!

রাত্যহিক জীবনে নানা কারণেই আমাদের মন খারাপ হয়। আমরা মুখ ভার করে বসে থাকি। একেবারেই হাসতে চাই না। কথায় কথায় বিরক্ত হয়ে পড়ি। এটা ঠিক নয়। এতে আরেকজনের সঙ্গে যেমন সম্পর্ক নষ্ট হয়, অন্যদিকে শরীরের উপরও মারাত্মক প্রভাব পড়ে। কাজেই শরীরকে সুস্থ এবং এর অঙ্গগুলোকে ভালো রাখতে চাইলে আমাদের সবারই সবসময় হাসিখুশি থাকা উচিত। সবসময় হাসলে একজন মানুষকে শুধু দেখতেই সুন্দর লাগে না, একইসঙ্গে শরীরের অঙ্গগুলো আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
কাজেই শরীরের অঙ্গগুলোকে সচল রাখতে সবসময় হাসিখুশি থাকবেন যেভাবে-

শুধু একটু হাসি!
পরিচিত কিংবা অপরিচিত হোক কারও সঙ্গে দেখা হলেই মিষ্টি করে হাসুন। কিছুক্ষণ পরে সেও যখন পাল্টা হাসবে, দেখবেন নিজের কাছে ভীষণ ভালো লাগবে। এই ভালো লাগার অনুভূতিটুকু সারাদিন সঙ্গে রাখুন, এতে দিনটা ভালোভাবে কেটে যাবে।

পাহাড়ে ওঠুন
উঁচু কোন জায়গায় উঠলে কিংবা দাঁড়ালে মানুষের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। এ সময় কষ্ট, শক্তি, সাহস – সব মিলিয়ে এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। ফলে নিজের উপর বিশ্বাসটা আরও বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে মনের মধ্যে এক ধরনের আনন্দ কাজ করে। এতে নিজেকে অনেক খুশিখুশি লাগে।

ডায়েরিতে লিখুন
কোন কারণে মন খারাপ হলেই ডায়েরিতে লেখা শুরু করুন। দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি, আপনি যা করেছেন বা করতে চান এমন কিছুই লিখে রাখুন। এতে মনের উপর চাপটা সহজেই কমে আসবে। একইসঙ্গে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন জীবনের কোন সিঁড়িতে আপনি বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছেন বা আপনার বর্তমান মনের অবস্থা কেমন।

বন্ধুদের ফোন করুন
অনেকদিন যেসব বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তাদের কাউকে ফোন করে একটু খোঁজখবর নিন বা পুরনো কিছু নিয়ে স্মৃতিচারণ করুন। দেখবেন বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নিজরেও অনেক ভালো লাগবে।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্যদের দিয়ে দিন
আপনার একেবারেই প্রয়োজন নেই এমন সব জিনিসপত্র যেমন পুরনো পোশাক, বই, সংসারের অন্যান্য জিনিসপত্র অন্যদের দিয়ে দিন। এগুলো অন্য মানুষের কাজে লাগছে তা দেখে আপনার মধ্যে এক ধরনের ভালো লাগার অনুভূতি জন্মাবে। ফলে সহজেই ভালো থাকতে পারবেন।

শিশুদের মতামত নিন
সবসময় শিশুরা অন্যভাবে চিন্তা-ভাবনা করে ৷ ওরা সব জিনিসই দেখে একটু আলাদা দৃষ্টিতে। তাই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুদের মতামত নিন। এতেও ভালো লাগবে।

মেডিটেশনে বসুন
মেডিটেশন করার হাজারো নিয়ম আছে৷ যারা নতুন করে শুরু করছেন, তারা চুপ করে বসে শুধু নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে নজর দিন। চিন্তা অন্যদিকে চলে গেলে তাকে আবার ফিরিয়ে আনুন। এ সময় মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন। এভাবে করলে মন শুধু শান্তই হবে না, থাকবে নিয়ন্ত্রণেও। আর মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে পৃথিবীর সব কিছুকেই সহজ মনে হবে।

পুরনো গল্প শুনুন
বাবা-মা কিংবা দাদা-নানার কাছ থেকে পুরনো গল্প শুনলে নতুন কিছু জানা যায়। কাজেই সময় পেলেই তাদের গল্প শুনুন। এগুলো আপনাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।

দুঃচিন্তাকে দূরে রাখুন
ধনী, গরিব, ছোট, বড় সবার জীবনে সমস্যা থকেবেই। তাই বলে মন খারাপ করে বসে থাকলে চলবে না। বরং দু:চিন্তাকে ছেড়ে ফেলে ঠান্ডা মাথায় সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজুন। দেখবেন এক সময় কোনো সমস্যাকেই আর বড় বলে মনে হবে না।

জীবন নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকুন
আমরা যে কত ভালো আছি তা হয়ত আমরা জানিই না। যখন কিছু হারিয়ে যায় বা বার বার চেয়েও পাই না, তখন বুঝি যে তা কত মূল্যবান। তাই যা পাইনি তা না ভেবে বরং পরিবার, অর্থ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য অর্থাৎ জীবনে যা আমরা পেয়েছি তার প্রতি যদি আমাদের কৃতজ্ঞতা বোধ থাকে, তাহলে জীবনকে সুন্দর মনে হবে। কাজেই যা আছে তাই নিয়েই কৃতজ্ঞ থাকুন।
তথ্যসূত্র: ডিডব্লিউ।

SHARE THIS

Author:

Facebook Comment

0 comments: