দেশে বাত রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মানবদেহে সাধারণত ৬৭২ ধরনের বাত রোগ হয়ে থাকে। মাসকিউলোসকেলেটাল আল্ট্রাসাউন্ড পদ্ধতির মাধ্যমে এসব রোগের অধিকাংশই অতিদ্রুত নির্ণয় করা সম্ভব। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দুদিনব্যাপী দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মাসকিউলোসকেলেটাল আল্ট্রাসাউন্ড কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ফিজিক্যাল মেডিসিন, অর্থোপেডিকস, রিউমাটোলজি, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং ও নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা অংশ নিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বর্তমান প্রশাসন চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট টেকনোলজি ট্রান্সফারে অত্যন্ত আগ্রহী। এ ধরনের আন্তর্জাতিক কোর্স চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আন্তর্জাতিক মাসকিউলোসকেলেটাল আল্ট্রাসাউন্ড কোর্স আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে রিউমাটোলজিক্যাল রোগ নির্ণয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা এই প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, জার্মানির অধ্যাপক উলফগ্যাং স্মিথ, আয়াল্যান্ডের ডা. জুনাইদ করিম, নেদারল্যান্ডসের অধ্যাপক জর্জ এডব্লিউ ব্রুন ও স্পেনের অধ্যাপক মোলার প্যারেরা ইনগরিড বক্তব্য দেন।
বক্তারা জানান, মাসকিউলোসকেলেটাল আল্ট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতে রিউমটয়েড আর্থাইটিস (গেটেবাত), অস্ট্রীয় আর্থাইটিস (হাড়বাত) ও গাউট বাতসহ অধিকাংশ রোগই পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত ও নিখুঁতভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। বর্তমান বিশ্বে রিউমাটোলজি-বিষয়ক বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগগুলো চিহ্নিত করার অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি এটি। ইউরোপে ১৯৯৮ সালে প্রথমে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্সের শুরু হয়। এ পদ্ধতির জনপ্রিয়তা দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ কোর্সটি গত বছর বিএসএমএমইউতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের এ বিষয়ে দক্ষ করতে তুলতে বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটি ও বিএসএমএমইউর রিউমাটোলজি বিভাগ যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো, শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া (স্বপন), কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এমএ জলিল চৌধুরীসহ প্রমুখ চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
0 comments: