Saturday, December 2, 2017

শীতের প্রভাবে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ, জেনে নিন প্রতিরোধের উপায়

ধীরে ধীরে বাংলাদেশে শীতের আগমন ঘটছে, পিঠা পুলি খাওয়ার মজার সাথে সাথেকিছু অস্বস্থিকর ব্যাপার ও ঘটে থাকে যেমন চামড়ার সমস্যা, জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি। কিন্তু সবচাইতে মারাত্বক ব্যাপার হলো শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের ব্যথা, হার্ট এ্যটাক ও এর মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায় প্রতিবার শীতকালে হার্ট এ্যটাকের রোগী ৩০% থেকে ৫০% বৃদ্ধি পায়।

শীতের প্রভাবে রক্ত চাপের পরিমান ১২ থেকে ১৮ মিলিমিটার বাড়তে পারে যা গবেষণায় প্রমাণিত। শীতের প্রভাবে রক্তনালী সংকোচিত হওয়ার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটে।

শীতের প্রভাবে রক্ত উপাদানে অনেক পরির্বতন পরিলক্ষিত হয়। রক্তজমাট বাঁধার জন্য দায়ী রক্তকনিকা, প্লেটিলেটস,  লোহিতকনিকা, ফিব্রিনোজেন এবং কোলেষ্টেরলের মাত্রাবৃদ্ধি পায়ফলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় শতকরা ২০ ভাগপর্যন্ত। রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য হার্ট এ্যাটাকও ষ্ট্রোকের প্রবণতা অনেক গুনে বৃদ্ধি পায়।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, অত্যাধিক শীতের প্রকোপে হার্টের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন শুরু হতে পারে যার ফলে তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটাও অস্বভাবিক নয়। পেটভরে খেয়ে ঠান্ডা আবহাওয়ায় হাঁটা হাঁটি করলে খুব সহজেই এনজিনার ব্যথা শুরু হয়ে যায়,যার জন্য রক্তনালীর সংকোচনকেই দায়ী করা হয়। যারা সুস্থ্যসবল লোকজন তারা খুব সহজে ঠান্ডা জনিত এসব পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, কিন্তু যারা শারীরিক ভাবে দূর্বল, বয়সের ভারে নূয্য বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত তারা খুব সহজেই এসব পরির্বতনের ফলে আরো বেশী অসুস্থ্য হয়ে থাকেন। তবে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনার প্রস্তুতি এবং সতর্কতা আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন ধীরে ধীরে শীত আসার চেয়ে হঠাৎশীত ঝেঁকে বসলে শরীর পরিবর্তীত অবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানোর সুযোগ পায় না বলে এসময়  অসুস্থ্য হয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশী।
সতর্কতা ও করণীয়ঃ

  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হৃদ রোগীগণ নিয়মিত ঔষধ সেবন করবেন।
  • বাহিরে হাটাঁহাঁটি করতে যাওয়ার সময় গরম কাপড়, জুতা, ছাতা এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ সঙ্গে নিয়ে বের হবেন।
  • বয়ষ্ক হৃদরোগীগণ প্রতিদিন গোসল না করে একদিন পর পর হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন। মনে রাখবেন খুব বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল আপনার স্বাস্থ্যের উপর বিরুপ প্রভাব পরবে।
  • পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরিমান বিশেষ করে শর্করা জাতীয় খাবার ১৫% থেকে ২০% বৃদ্ধি করা উচিৎ। বয়ষ্ক হৃদরোগীর শীতকালীন বৃষ্টির সময় ঘরের বাইরে না যাওয়াই উওম।
  • নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে রাখুন যাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেন।
  • শীতের শুরুতে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করে ঔষধপত্রের মাত্রা ঠিক করে নিন।
  • ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাহিরে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং কাপড় সঙ্গে রাখুন।


SHARE THIS

Author:

Facebook Comment

0 comments: