রাতে বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন, হঠাৎ পায়ের পেশিতে টান, প্রচণ্ড ব্যথায় ঘুম
ভেঙ্গে যায়। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে অনেকেরই। ব্যাথার কারণে পা সোজা বা ভাঁজ
করা যায় না তখন। তবে বেশিরভাগ সময়ই ঘুম বা বিশ্রামের সময় এমনটা ঘটে বেশি।
পেশিতে টান লাগলে পায়ের নিদির্ষ্ট একটা
জায়গা শক্ত হয়ে যায় কিছু সময়ের জন্য। পা নড়াচড়া করতে না পারলে অনেকে
আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে গর্ভবতী এবং বয়স্করা এই সমস্যায় বেশি পড়েন। এই
অবস্থা কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী হয়,তবে ব্যথাটা সারাদিন থাকতে পারে।
পেশিতে এমন টান লাগার নির্দিষ্ট কোন কারণ থাকে না। তবে কোন কোন সময়
বেকায়দায় শোয়ার কারণে হয়। কখনো কখনো এই সমস্যা ডায়বেটিস এবং বিভিন্ন ধরনের
আর্থাইটিস রোগের ইঙ্গিত বহন করে। আবার অতিরিক্ত মাদকাশক্তি,ড্রিহাইড্রেশন,
ডায়বেটিস থাকলেও এমনটা হতে পারে।
এক
গবেষণায় দেখা গেছে, ৬০ বছরের পর প্রতি তিনজনের একজন পায়ের পেশী খিচে ধরা বা
টান লাগা সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া গর্ভবতী নারীদের মধ্যেও এই সমস্যা বেশি।
কী করবেন তখন?
বিশেষজ্ঞরা
পেশিতে হঠাৎ এমন টান লাগলে আতঙ্কিত না হয়ে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করার
পরামর্শ দিয়েছেন। যদি কারো হাঁটুর নিচে পায়ের পিছনের পেশিতে টান লাগে তাহলে
পা সোজা করে হাত দিয়ে পায়ের আঙুলের মাথাগুলো ধরে নিজের দিকে আস্তে আস্তে
টানুন। আর যদি সামনের দিকে হয় তাহলে পা ভাঁজ করে পায়ের আঙুলের মাথাগুলো
পেছনের দিকে টানুন। ঘন ঘন এরকম হলে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম,
ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বেশি
পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল,দুধ, মাংস এগুলো রাখা উচিৎ।
অনেক
সময় উরুর পেছনেও এমনটা হয়,তখন চিৎ হয়ে শুয়ে পা ভাঁজ করে হাটুঁ বুকের দিকে
নিয়ে আসুন যতোটুকু পারা যায়। এসময় উরুর পেছনের পেশিতে আলতো হাতে আস্তে
আস্তে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যাবে। আর যদি পেশি শক্ত হয়ে আসে তখন ওয়াটার
ব্যাগ বা হট ব্যাগের মাধ্যমে কিছুক্ষণ গরম সেঁকা দিন আক্রান্ত পেশিতে। যদি
পেশি বেশি নরম ও ফুলে যায় আর ব্যথা থাকে তাহলে তাতে আইসব্যাগ দিয়ে ঠাণ্ডা
সেঁক দিন। বেশ আরাম পাবেন। বাড়িতে যদি ব্যথানাশক কোন বাম বা জেল থাকে,তা
দিয়ে আস্তে আস্তে মালিশ করলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।
0 comments: