এই প্রবন্ধে এমন কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত খেলে
রক্তচাপ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই আপনিও যদি এই রোগের শিকার হয়ে
থাকেন, তাহলে এই ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিটিকে একবার কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
উপকার যে মিলবে, তা বলাই বাহুল্য। এক্ষেত্রে যে যে খাবরগুলি গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল-
ওটস : উচ্চ এবং নিম্ন,
দুই ধরনের রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে এই খাবারটির কোনও বিরল্প হয় না বললেই
চলে। এখানেই শেষ নয়, হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও ওটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে থাকে।
আদা : এতে
রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, যা রক্তচাপকে
নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে। তাই তো যাদের এমন সমস্যা রয়েছে,
তারা দিনে ১-২ বার আদা চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই শরীর চাঙ্গা
হয়ে উঠবে।
ডার্ক চকোলেট :
এতে রয়েছে কোকো, যা রক্ত চাপ কমানোর পাশপাশি নানাবিধ হার্টের রোগ
আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়। তাই যারা অল্প বয়স থেকেই নানা ধরনের লাইফ
স্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত, তারা এই খাবারটি খাওয়ার অভ্যাস করুন। উপকার পাবেন।
তিল : তিল তেল বিশেষ কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সেই সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন-ই। এই সবকটি উপাদানই রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে দারুন কাজে আসে।
মূলা :
শুধু মূলা নয়, পাতা সমেত এই সবজিটি খেলে তবেই ব্লাড প্রেসার একেবারে হাতের
মুঠোয় চলে আসে। আসলে মূলায় রয়েছে পটাশিয়াম, যা শরীরে নুনের পরিমাণকে
নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে দিয়ে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
বেদানা
: এতে উপস্থিত পলিফেনোলিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, শিরা-উপশিরাকে প্রসারিত
করে। ফলে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। আর এমনটা হলেই স্বাভাবিক হতে শুরু করে
রক্তচাপ।
তুলসি : তুলসি পাতায় রয়েছে ইউজেনল নামে একটি উপাদান, যা অল্প দিনেই ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
সজনে :
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম। কী কাজে আসে এই খনিজটি? এটি শরীরে
সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে ব্লাড প্রেসারকে স্বাভাবিক লেভেল নিসে। তাই তো
প্রেসারের রোগীদের নিয়মিত সজনে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
টমাটো :
এই সবজিটিতে রয়েছে লাইকোপেন নামে একটি উপাদান, যা শরীরে বাজে
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশপাশি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
রসুন :
অপনি কি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে আজ থেকেই রসুন খাওয়া শুরু
করুন। কারণ এটি দ্রুত রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আসলে রসুনে উপস্থিত অ্যালিসিন নামে একটি উপাদান ব্লাড প্রসার স্বাভাবিক
করতে নানাভাবে সাহায্য করে।
0 comments: