আসুন ভাই,দেখে যান আমাদের এই নতুন বই ৩০ দিনে কোটিপতি হবার ১০০ উপায়+১টি
উপায় ফ্রি। এই বইটি পরলে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে পরিশ্রম না করে
বড়লোক হওয়া যায়, কিভাবে ১০০% ১নম্বুরি পথে সহজে বড়লোক হওয়া যায়।
দেশের যে কোনো শো-রুমে এই বইটি আপনারদের কিনতে হবে ৩০ টাকা দিয়ে। কিন্তু কম্পানির প্রচার ও প্রসারের জন্য আমার কাছ থেকে আপনারা বইটি নিতে পারবেন মাত্র ১০টাকা, ১০টাকা, ১০টাকা, ৩টা একসাথে নিলে ২৫ টাকা। দেখে নিন ১০টাকা, বুঝে নিন ১০টাকা। ইচ্ছা করলে আপনারা হাতে নিয়ে দেখতে পারেন, হাতে নিলেই কিনতে হবে না,টাকা পয়সা দিতে হবে না। যারা কিনতে চান, জায়গায় থেকে আওয়াজ দিবেন আর যারা কিনতে চান না তারা এই লিফলেটের কাহিনি পড়ে দেখতে পারেন –
ক্যাপিটাল চৌধুরী ঝানু ব্যবসায়ী। পিতা ছিলেন ছোটো খাটো ব্যবসায়ী, ছোটকালেই পিতার মৃত্যুর কারনে পড়ালেখার ঝামেলা চুকিয়ে বসে গেলেন পৈত্রিক ব্যবসায়। ক্যাপিটাল চৌধুরীর ভায়ানক দুরদর্শীতার কারনে অল্পদিনেই ব্যবসা ফুলে ফেপে একাকার।মানুষের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়, তার হল বড়সড় রেন্ট্রি নাহলে বট গাছ।সেই দুর্ধর্ষ ব্যবসায়ী কিনা এত বড় ভুল করে ফেললেন! আচ্ছা একটু খোলাসা করেই বলি,
এই সেদিন ক্যাপিটাল চৌধুরি কাজ কর্ম সেরে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন, গাড়ি থেকে নেমে লিফটের সামনে এসে দাঁড়ালেন। “স্লামালাইকুম ওস্তাদ”- পেছন থেকে কে জানি বলল।পেছনে তাকিয়ে দেখেন ভাঙ্গাচুরা বক্কর।যারা ভাঙ্গাচুরা বক্করকে চেনেন না তাদের অবগত করছি,ভাঙ্গাচুরা বক্কর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী যাকে চৌধুরী সাহেব নিয়মিত চাঁদা দেন।তার এই নামের কারন হচ্ছে,তার ইতিহাস থেকে জানা যায়, হরতালের সময় গাড়ি ভাংচুর করা তার প্রিয় কাজ।
তার মত এক্সপার্ট লোক দেশে আর নাই।হরতালের সময় নিজের হাতে দুই একটা গাড়ি না ভাংলে তার রাতে ঘুম কম হয়,হেচকি উঠে, মাঝে মাঝে বদহজমও হয় । যাই হোক, ভাঙ্গাচুরা বক্করকে দেখে চৌধুরী সাহেব চমকালেন, বললেন-” তোমার পাওনা তো আগেই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে”। “আমি ঐ বিষয় নিয়া আসি নাই ওস্তাদ, আপনি বড় বিজনেছ ম্যান, মনে খায়েশ হইল আপনার লগে বিজনেছ করাবার, তাই আইলাম আর কি”- অনেকটা ধমকের সুরেই বলল ভাঙ্গাচুরা বক্কর।
-”কি বিজনেস?”
-”সোজা কাহিনি, আমি আপনেরে ১মাস পরতেক দিন ১ লাখ টাকা কইরা দিমু, আর আপনে আমারে পরথম দিনে দিবেন ১পয়সা, ২য় দিন ২পয়সা, ৩য় দিন ৪পয়াসা এমনে কইরা পরতেক দিন আগের দিনের ডবল। মাগার একটা শর্ত আছে, ৩০ দিনের চুক্তি, শুরু কইরা ৩০ দিনের আগে শেষ করতে পারবেন না। রাজি থাকলে বলেন কবুল”
চৌধুরি সাহেব প্রথমে ভাবলেন বক্কর তার সাথে মশকরা করছে। কিন্তু পরেই বুঝলেন বক্কর সিরিয়াস। ঝানু ব্যবসায়ী ভাবলেন গত হরতালে ভাংচুর করতে গিয়ে বোধহয় বক্করের মাথায় আঘাত পেয়ে পাগল হয়ে গেছে, নাহলে এমন আজব প্রস্তাব দেয় কেউ। অন্যরকম কোনো সন্দেহ যে হয়নি তা না, কিন্তু কার ঘাড়ে দুটো মাথা অথবা কার ঘাড়ে মাথা নেই যে সেটা নিয়ে বক্করকে ঘাটাবে। যাই হোক, কথা হল পরের দিন থেকেই এই ‘বিজনেছ’ শুরু হবে। চৌধুরী সাহেব ফ্যসাদে পরলেন ১ পয়সার কয়েন যোগাতে, এই দিনে তো এই গুলো পাওয়া যায় না। তাও কিভাবে কিভাবে জানি যোগার করে এনে রাখলেন।
পরদিন ভোরেই বক্কর এসে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে হাজির। টাকা দিয়ে ১পয়সা কয়েন নিয়ে চলে গেলো। চৌধুরী সাহেব তো মহাখুশি, টাকা গুলো গুনে দেখলেন, পরীক্ষা করে দেখলেন জাল কি না। সব ঠিক আছে দেখে তার খুশি তো আর ধরে না। হঠৎ চিন্তা হল- এমন কি হতে পারে, তিনি তার বাড়িতে টাকা পয়সা কিভাবে রাখেন তা জানার জন্য বক্কর এর ফন্দি পেতেছে।সুযোগ মত সব ডাকাতি করে পালাবে। দুশ্চিন্তায় কোনমতে রাতটা কটালেন, ভোরে বক্কর হাজির আবার ১ লক্ষ টাকা নিয়ে। টাকা দিয়ে ২ পয়সা নিয়ে গেলো। যাবার সময় বলে গেলো, “কাইল ৪ পয়সা রেডি রাইখেন ওস্তাদ”। এভাবে সাপ্তাহটা পার করলেন। সপ্তাহ শেষে চৌধুরী হিসাবে বসলেন, এই ৭ দিনে তিনি পেলেন মোট ৭ লক্ষ টাকা, আর দিলেন-
১+২+৪+৮+১৬+৩২+৬৪=১টাকা ২৭ পয়সা।
বিশাল ‘বিজনেছ’। তার আফসোস হতে থাকে, এই অফার মাত্র ৩০ দিনের।
যাই হোক,
আস্টম দিনে বক্করকে ৬৪ পয়াসার ডবল ১.২৮ টাকা দেন ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।
৯ম দিন দেন, ২.৫৬ টাকা।
১০ম দিন ৫.১২ টাকা।
১১তম দিন ১০.২৪ টাকা।
১২তম দিন ২০.৪৮ টাকা।
১৩তম দিনে ৪০.৯৬ টাকা
১৪তম দিনে ৮১.৯২
১৫তম দিনে ১৬৩.৮৪
এইভাবে ১৫তম দিনে সে দিলো, ১৬৩.৮৪ টাকা। চৌধুরী এখনো খুশি, কারন এই ১৫ দিনে সে মোট পেলো ১৫ লক্ষ টাকা, দিলো মাত্র- ৩২৭.৬৭ টাকা।
এইভাবে আরোও চলতে থাকলো,
১৬তম দিনে দিলো ৩২৭.৬৮ টাকা
১৭তম দিনে ৬৫৫.৩৬ টাকা
১৮তম দিনে ১৩১০.৭২ টাকা
১৯তম দিনে ২৬২১.৪৪ টাকা
ক্যাপিটাল ব্যটা টের পাচ্ছিল যে টাকা অল্প অল্প করে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত সে ৫০০০টাকার বেশি দিয়েছে কিন্তু এরই মাঝে সে ১৯ লক্ষ টাকা তো পেয়েই গেছে। এ আর এমন কি। মোটে বাকি আর দশ দিন। এভাবে চলতে লাগলো,
২০তম দিনে ৫২৪২.৮৮ টাকা
২১তম দিনে ১০৪৮৫.৭৬ টাকা
২২তম দিনে ২০৯৭১.৫২ টাকা
২৩তম দিনে ৪১৯৮৩.০৪ টাকা
২৪তম দিনে ৮৩৮৮৬.০৮ টাকা
২৫তম দিনে ১৬৭৭৭২.১৬ টাকা
এখন চৌধুরী সাহেবের দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গেলো, পাচ্ছেন এক লক্ষ, দিচ্ছেন দেড় লক্ষ। তারপরেও ভরসার কথা এত দিনে ২৫ লক্ষ টাকা পেয়ে গেছেন। দিয়েছেন অনেক কম। আর বাকি মোটে ৫টা দিন। ভালোয় ভালোয় গেলেই হয়।
২৬তম দিনে ৩৩৫৫৪৪.৩২ টাকা
২৭তম দিনে ৬৭১০৮৮.৬৮ টাকা
২৮তম দিনে ১৩৪২১৭৭.২৮ টাকা
চৌধুরী সাহেবের বুক ধড়ফড় করা শুরু করলো। তিনি কল্পনা করতে পারেন নি এমন কিছু হবে।হিসাব কিতাব ভালো বুঝেন না তিনি। পড়ালেখা করার চান্সই পাননি।
শেষ দুইদিন তো চৌধুরী সাহেবকে পথেই বসিয়ে দেবার যোগার-
২৯তম দিনে ২৬৮৪৩৫৪.৫৬ টাকা
৩০তম দিনে ৫৩৬৮৭০৯.১২ টাকা
অবশেষে ক্যাপিটাল চৌধুরী বুঝলেন, কি মহাভুল করেছেন তিনি। ৩০ দিনে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে মোট দিতে হলো- ১,০৭,৩৭,৪১৮টাকা ২৩ পয়সা যেটা কিনা শুরু হয়েছিলো মাত্র ১ পয়সা থেকে!!!
ভাঙ্গাচুরা বক্করের নীট লাভ হল তাহলে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার মত। যাওয়ার সময় বক্কর দাত কেলিয়ে বলে গেলো,” ওস্তাদ, গেলাম তাইলে। শইলের যত্ন নিয়েন, আপনি গেয়ানী মানুষ, জানেন ত, শইলই সুখের মুল”
দেশের যে কোনো শো-রুমে এই বইটি আপনারদের কিনতে হবে ৩০ টাকা দিয়ে। কিন্তু কম্পানির প্রচার ও প্রসারের জন্য আমার কাছ থেকে আপনারা বইটি নিতে পারবেন মাত্র ১০টাকা, ১০টাকা, ১০টাকা, ৩টা একসাথে নিলে ২৫ টাকা। দেখে নিন ১০টাকা, বুঝে নিন ১০টাকা। ইচ্ছা করলে আপনারা হাতে নিয়ে দেখতে পারেন, হাতে নিলেই কিনতে হবে না,টাকা পয়সা দিতে হবে না। যারা কিনতে চান, জায়গায় থেকে আওয়াজ দিবেন আর যারা কিনতে চান না তারা এই লিফলেটের কাহিনি পড়ে দেখতে পারেন –
ক্যাপিটাল চৌধুরী ঝানু ব্যবসায়ী। পিতা ছিলেন ছোটো খাটো ব্যবসায়ী, ছোটকালেই পিতার মৃত্যুর কারনে পড়ালেখার ঝামেলা চুকিয়ে বসে গেলেন পৈত্রিক ব্যবসায়। ক্যাপিটাল চৌধুরীর ভায়ানক দুরদর্শীতার কারনে অল্পদিনেই ব্যবসা ফুলে ফেপে একাকার।মানুষের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়, তার হল বড়সড় রেন্ট্রি নাহলে বট গাছ।সেই দুর্ধর্ষ ব্যবসায়ী কিনা এত বড় ভুল করে ফেললেন! আচ্ছা একটু খোলাসা করেই বলি,
এই সেদিন ক্যাপিটাল চৌধুরি কাজ কর্ম সেরে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন, গাড়ি থেকে নেমে লিফটের সামনে এসে দাঁড়ালেন। “স্লামালাইকুম ওস্তাদ”- পেছন থেকে কে জানি বলল।পেছনে তাকিয়ে দেখেন ভাঙ্গাচুরা বক্কর।যারা ভাঙ্গাচুরা বক্করকে চেনেন না তাদের অবগত করছি,ভাঙ্গাচুরা বক্কর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী যাকে চৌধুরী সাহেব নিয়মিত চাঁদা দেন।তার এই নামের কারন হচ্ছে,তার ইতিহাস থেকে জানা যায়, হরতালের সময় গাড়ি ভাংচুর করা তার প্রিয় কাজ।
তার মত এক্সপার্ট লোক দেশে আর নাই।হরতালের সময় নিজের হাতে দুই একটা গাড়ি না ভাংলে তার রাতে ঘুম কম হয়,হেচকি উঠে, মাঝে মাঝে বদহজমও হয় । যাই হোক, ভাঙ্গাচুরা বক্করকে দেখে চৌধুরী সাহেব চমকালেন, বললেন-” তোমার পাওনা তো আগেই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে”। “আমি ঐ বিষয় নিয়া আসি নাই ওস্তাদ, আপনি বড় বিজনেছ ম্যান, মনে খায়েশ হইল আপনার লগে বিজনেছ করাবার, তাই আইলাম আর কি”- অনেকটা ধমকের সুরেই বলল ভাঙ্গাচুরা বক্কর।
-”কি বিজনেস?”
-”সোজা কাহিনি, আমি আপনেরে ১মাস পরতেক দিন ১ লাখ টাকা কইরা দিমু, আর আপনে আমারে পরথম দিনে দিবেন ১পয়সা, ২য় দিন ২পয়সা, ৩য় দিন ৪পয়াসা এমনে কইরা পরতেক দিন আগের দিনের ডবল। মাগার একটা শর্ত আছে, ৩০ দিনের চুক্তি, শুরু কইরা ৩০ দিনের আগে শেষ করতে পারবেন না। রাজি থাকলে বলেন কবুল”
চৌধুরি সাহেব প্রথমে ভাবলেন বক্কর তার সাথে মশকরা করছে। কিন্তু পরেই বুঝলেন বক্কর সিরিয়াস। ঝানু ব্যবসায়ী ভাবলেন গত হরতালে ভাংচুর করতে গিয়ে বোধহয় বক্করের মাথায় আঘাত পেয়ে পাগল হয়ে গেছে, নাহলে এমন আজব প্রস্তাব দেয় কেউ। অন্যরকম কোনো সন্দেহ যে হয়নি তা না, কিন্তু কার ঘাড়ে দুটো মাথা অথবা কার ঘাড়ে মাথা নেই যে সেটা নিয়ে বক্করকে ঘাটাবে। যাই হোক, কথা হল পরের দিন থেকেই এই ‘বিজনেছ’ শুরু হবে। চৌধুরী সাহেব ফ্যসাদে পরলেন ১ পয়সার কয়েন যোগাতে, এই দিনে তো এই গুলো পাওয়া যায় না। তাও কিভাবে কিভাবে জানি যোগার করে এনে রাখলেন।
পরদিন ভোরেই বক্কর এসে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে হাজির। টাকা দিয়ে ১পয়সা কয়েন নিয়ে চলে গেলো। চৌধুরী সাহেব তো মহাখুশি, টাকা গুলো গুনে দেখলেন, পরীক্ষা করে দেখলেন জাল কি না। সব ঠিক আছে দেখে তার খুশি তো আর ধরে না। হঠৎ চিন্তা হল- এমন কি হতে পারে, তিনি তার বাড়িতে টাকা পয়সা কিভাবে রাখেন তা জানার জন্য বক্কর এর ফন্দি পেতেছে।সুযোগ মত সব ডাকাতি করে পালাবে। দুশ্চিন্তায় কোনমতে রাতটা কটালেন, ভোরে বক্কর হাজির আবার ১ লক্ষ টাকা নিয়ে। টাকা দিয়ে ২ পয়সা নিয়ে গেলো। যাবার সময় বলে গেলো, “কাইল ৪ পয়সা রেডি রাইখেন ওস্তাদ”। এভাবে সাপ্তাহটা পার করলেন। সপ্তাহ শেষে চৌধুরী হিসাবে বসলেন, এই ৭ দিনে তিনি পেলেন মোট ৭ লক্ষ টাকা, আর দিলেন-
১+২+৪+৮+১৬+৩২+৬৪=১টাকা ২৭ পয়সা।
বিশাল ‘বিজনেছ’। তার আফসোস হতে থাকে, এই অফার মাত্র ৩০ দিনের।
যাই হোক,
আস্টম দিনে বক্করকে ৬৪ পয়াসার ডবল ১.২৮ টাকা দেন ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।
৯ম দিন দেন, ২.৫৬ টাকা।
১০ম দিন ৫.১২ টাকা।
১১তম দিন ১০.২৪ টাকা।
১২তম দিন ২০.৪৮ টাকা।
১৩তম দিনে ৪০.৯৬ টাকা
১৪তম দিনে ৮১.৯২
১৫তম দিনে ১৬৩.৮৪
এইভাবে ১৫তম দিনে সে দিলো, ১৬৩.৮৪ টাকা। চৌধুরী এখনো খুশি, কারন এই ১৫ দিনে সে মোট পেলো ১৫ লক্ষ টাকা, দিলো মাত্র- ৩২৭.৬৭ টাকা।
এইভাবে আরোও চলতে থাকলো,
১৬তম দিনে দিলো ৩২৭.৬৮ টাকা
১৭তম দিনে ৬৫৫.৩৬ টাকা
১৮তম দিনে ১৩১০.৭২ টাকা
১৯তম দিনে ২৬২১.৪৪ টাকা
ক্যাপিটাল ব্যটা টের পাচ্ছিল যে টাকা অল্প অল্প করে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত সে ৫০০০টাকার বেশি দিয়েছে কিন্তু এরই মাঝে সে ১৯ লক্ষ টাকা তো পেয়েই গেছে। এ আর এমন কি। মোটে বাকি আর দশ দিন। এভাবে চলতে লাগলো,
২০তম দিনে ৫২৪২.৮৮ টাকা
২১তম দিনে ১০৪৮৫.৭৬ টাকা
২২তম দিনে ২০৯৭১.৫২ টাকা
২৩তম দিনে ৪১৯৮৩.০৪ টাকা
২৪তম দিনে ৮৩৮৮৬.০৮ টাকা
২৫তম দিনে ১৬৭৭৭২.১৬ টাকা
এখন চৌধুরী সাহেবের দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গেলো, পাচ্ছেন এক লক্ষ, দিচ্ছেন দেড় লক্ষ। তারপরেও ভরসার কথা এত দিনে ২৫ লক্ষ টাকা পেয়ে গেছেন। দিয়েছেন অনেক কম। আর বাকি মোটে ৫টা দিন। ভালোয় ভালোয় গেলেই হয়।
২৬তম দিনে ৩৩৫৫৪৪.৩২ টাকা
২৭তম দিনে ৬৭১০৮৮.৬৮ টাকা
২৮তম দিনে ১৩৪২১৭৭.২৮ টাকা
চৌধুরী সাহেবের বুক ধড়ফড় করা শুরু করলো। তিনি কল্পনা করতে পারেন নি এমন কিছু হবে।হিসাব কিতাব ভালো বুঝেন না তিনি। পড়ালেখা করার চান্সই পাননি।
শেষ দুইদিন তো চৌধুরী সাহেবকে পথেই বসিয়ে দেবার যোগার-
২৯তম দিনে ২৬৮৪৩৫৪.৫৬ টাকা
৩০তম দিনে ৫৩৬৮৭০৯.১২ টাকা
অবশেষে ক্যাপিটাল চৌধুরী বুঝলেন, কি মহাভুল করেছেন তিনি। ৩০ দিনে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে মোট দিতে হলো- ১,০৭,৩৭,৪১৮টাকা ২৩ পয়সা যেটা কিনা শুরু হয়েছিলো মাত্র ১ পয়সা থেকে!!!
ভাঙ্গাচুরা বক্করের নীট লাভ হল তাহলে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার মত। যাওয়ার সময় বক্কর দাত কেলিয়ে বলে গেলো,” ওস্তাদ, গেলাম তাইলে। শইলের যত্ন নিয়েন, আপনি গেয়ানী মানুষ, জানেন ত, শইলই সুখের মুল”
0 comments: