দুধ একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সহ আরও অনেক উপাদান রয়েছে। কিন্তু অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। তারা বাদাম দুধ খেতে পারেন। বাদাম দুধে দুধের পুষ্টিগুণের সাথে সাথে বাদামের পুষ্টি পাওয়া যায়, ফলে এটি দুধের থেকে আরও বেশী পুষ্টিদায়ক। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি অনেক বেশী সাস্থ্যকর। আসুন জেনে নিই, বাদাম দুধের অসাধারণ কিছু পুষ্টিগুণের কথা।
১। ওজন কমাতে সাহায্য করে এক কাপ বাদাম দুধে ৬০ গ্রাম ক্যালরি থাকে যেখান এক কাপ দুধে ১৪৬ গ্রাম ক্যালরি আছে। যারা ক্যালরির ভয়ে দুধ খেতে পারছেন না তারা নির্ভয়ে বাদাম দুধ খেতে পারেন। এটি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
২। হৃদযন্ত্র সুস্থ্য রাখে বাদাম দুধে কোন কোলেস্টেরল নেই। বাদাম দুধে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। ওমেগা ফ্যাট উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রন রেখে হৃদযন্ত্র সুস্থ্য রাখে।
৩। হাড় মজবুত করে বাদাম দুধে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সাধারণ দুধের থেকে বেশী থাকে। এতে ভিটামিন ডি আছে যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারনে হাড়ের প্রদাহ ও ব্যথা দূর করে হাড় মজুবত করে থাকে।
৪। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে বাদাম দুধে শতকরা ৫০ ভাগ হল ভিটামিন যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ভেতর থেকে বৃদ্ধি করে থাকে। এবং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে ভেতর থেকে স্বাস্থ্যজ্বল করার পাশাপাশি রোদে পোড়া দাগ দূর করে থাকে।
৫। পেশী শক্তিশালী করে থাকে বাদাম দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি আছে। যা পেশী শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিভিন্ন ম্যাসল পেইন বা পেশী ব্যথা ভাল করে থাকে।
৬। ডায়াবেটিসের ওপর প্রভাব কম পড়ে অনেকে মনে করে থাকেন বাদাম দুধ ডায়াবেটিসের ওপর প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এটি ডায়াবেটিসের ওপর অনেক কম প্রভাব ফেলে। মূলত এতে কোন কার্বস নেই ফলে এটি সুগার লেভেলের ওপর কোন প্রভাব ফেলে না।
৭। হজমশক্তি বাড়াতে বাদাম দুধে একপ্রকার ফাইবার আছে যা আপনার হজমশক্তির ওপর প্রভাব ফেলে। এবং আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
0 comments: