সকালবেলা খালি পেটে ব্যায়াম করা বা হাঁটার অভ্যাস বেশির ভাগ মানুষের। আবার অনেকে সকালে হাঁটতে যাওয়ার আগে হালকা কিছু খেয়ে নেন।
কী খাওয়া যায়?
কী খাওয়া উচিত নয়?
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা
আমরা যখন খালি পেটে থাকি তখন শরীরে কাজ চালানোর মতো
প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ বা শর্করার চাহিদা মেটায় যকৃৎ বা লিভার। যকৃতে গ্লুকোজের
জমিয়ে রাখা ভান্ডার থেকে আসে এই শর্করা। তবে এর বেশির ভাগটাই তখন কাজে
লাগে মস্তিষ্ক, কিডনি, রক্তকোষ ইত্যাদি জরুরি অঙ্গের জন্য। এ অবস্থায়
ব্যায়াম শুরু করলে পেশিতে গ্লুকোজের চাহিদা বেড়ে যায়, পরে যকৃৎকে আরও বেশি
করে গ্লুকোজ সরবরাহ করতে হয়। খালি পেটে ব্যায়াম করলে বাড়তি শক্তি জোগাতে
শরীরের চর্বি বেশি বেশি ভাঙবে, এ ধারণা কিন্তু ভুল। কেননা, যকৃতের ভান্ডার
শেষ হওয়ার পরই কেবল চর্বি ভাঙতে শুরু করে। আবার ডায়াবেটিসের রোগীদের যকৃৎ
থেকে গ্লুকোজ সরবরাহের প্রক্রিয়া প্রায়ই সমস্যাযুক্ত থাকে এবং না খেয়ে বেশি
ব্যায়াম করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। উল্টো দিকে খাওয়া-দাওয়া করে
ব্যায়াম করলে খাদ্যনালির ভালব দুর্বল হয়ে খাবার ওপরে উঠে আসতে পারে, বমি
হতে পারে, গলা জ্বলে। এ সময় রক্ত সরবরাহ পাকস্থলী ও অন্ত্রের দিকে ধাবিত হয়
বলে পেশিতে শক্তি কম পাওয়া যায়, অবসন্ন লাগে। গবেষকেরা বলছেন, খালি পেটে
না ব্যায়াম করে হালকা ও জটিল শর্করাযুক্ত সামান্য খাবার খেয়ে নেওয়া ভালো।
শুকনো শর্করা (যেমন: মুড়ি বা চিড়া), দুধবিহীন সিরিয়াল, আপেল, এক টুকরো ব্রাউন ব্রেড ইত্যাদি
দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার, ক্যাফেইনযুক্ত খাবার, মিষ্টিজাতীয় কিছু বা সহজ শর্করা, টক ফলমূল।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা
0 comments: