Friday, March 23, 2018

শোয়ার আয়োজন

শান্তির নীড়ে শোয়ার আয়োজনে মনের ভুলেই হয়তো অস্বস্তি ডেকে আনি আমরা। রোজকার জীবনধারার স্বাভাবিক নিয়মে শোয়ার সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এড়িয়ে যাই। শুয়ে পড়লেই হলো। টনক নড়ে বড় রকমের বিপত্তি বাধলে। বিছানা-বালিশের সমস্যার কারণে ঘাড়ে-পিঠে ব্যথা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বিছানা খুব নরম হলে পিঠের ব্যথায় ভুগতে পারেন। আবার খুব শক্ত বিছানায় ঘুমিয়ে স্বস্তিও পাবেন না। তাই মোটামুটি শক্ত ধরনের বিছানায় শোয়া ভালো। বিছানা বেশি নরম মনে হলে কয়েক দিনের জন্য বিছানার নিচে শক্ত কাঠের পাত রেখে দিতে পারেন কিংবা জাজিম মেঝেতে বিছিয়ে ঘুমাতে পারেন। যদি স্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে এটার চেয়ে একটু শক্ত বিছানা তৈরি করে নিন।

একাধিক বালিশ ব্যবহার করা ভালো নয়। মাঝারি উচ্চতার একটি বালিশ ব্যবহার করুন। বালিশ অতিরিক্ত শক্ত বানানো ঠিক নয়। বিশেষ করে যাঁরা ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা অবশ্যই নরম বালিশ ব্যবহার করুন। বেশি দেবে যাওয়া নরম বালিশ পরিবর্তন করে নিন।
সোজাভাবে শোবেন। যাঁদের নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে, তাঁরা কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করলে কিছু উপকার পাবেন। শোয়ার ঘণ্টাখানেক আগে খাওয়ার পর্ব শেষ করুন। নইলে শোয়ার পর বুক জ্বালা করতে পারে।

ঘুম কম হলে শরীরে ব্যথা বা অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে। ঘুম কম হওয়ার অন্যতম কারণ মানসিক চাপ। অভ্যাসগত কিছু ভুলের কারণে রাতে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। যেমন: শোয়ার জায়গায় অফিসের কাজ করা বা শোয়ার আগে টেলিভিশন, মুঠোফোনসহ অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবহার। অনেকের ঘুমের সময় গল্পের বই পড়ার অভ্যাস ভালো। তবে প্রযুক্তিপণ্যের সাহায্যে নয়। হালকা ধাঁচের গান শোনার অভ্যাস ঘুমের জন্য মন্দ নয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

SHARE THIS

Author:

Facebook Comment

0 comments: