Saturday, July 30, 2016

এই প্রাকৃতিক ঘরোয়া শরবত দেবে পেটের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি

বদহজম, অম্বল, গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অস্বস্তি থেকে রেহাই দিতে সক্ষম এই প্রাকৃতিক শরবত।

খাওয়ার হলুদের বিবিধ উপকারিতার কথা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন আপনারা। শুধু আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নয়, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানেও হলুদের উপকারিতা স্বীকৃত ও প্রমাণিত হয়েছে। ডাক্তাররা বলছেন, হলুদে যে কারকামিন নামের উপাদানটি থাকে সেটি শরীরের প্রদাহ উপশমে সবচেয়ে কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদানগুলির মধ্যে একটি। ত্বক, গ্যাস্ট্রিক, কোলন বা স্তনের নানাবিধ ক্যানসার ও অন্যান্য রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে কারকামিন। ডাক্তারদের অনেকেই মনে করছেন, নিয়মিত যদি হলুদ দিয়ে তৈরি শরবত খাওয়া যায় তাহলে পেটের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। বদহজম, অম্বল, গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অস্বস্তি থেকে রেহাই দিতে সক্ষম এই প্রাকৃতিক শরবত— 







এমনটাই বলছেন তাঁরা। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন’ নামের গবেষণা পত্রিকায় এই বিশেষ ধরনের শরবত তৈরির কী প্রণালী নির্দেশিত হয়েছে, আসুন জেনে নিই।



 প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, কী কী লাগবে এই শরবত তৈরি করতে- 
 • ১ কাপ হলুদ গুঁড়ো, 
 • ৬ কাপ জল,  
• আধ কাপ কাঁচা মধু,  
• ২ টো পাতি লেবু।  

এবার জেনে নিন, কী করতে হবে। একটি পাত্রে জল আর হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মিনিট কুড়ি সেই মিশ্রণ ফোটান। তারপর আঁচ কমিয়ে আরও মিনিট ১৫-২০ গরম করুন। এবার উনুন থেকে নামিয়ে মিশ্রণটিকে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর তাতে মিশিয়ে দিন ২টো পাতি লেবুর রস আর মধু। এবার মিশ্রণটিকে একটি মুখ বন্ধ জার-এ ভরে তিন দিন ঘরের কোনও ঠান্ডা জায়গায় রেখে দিন। তিন দিন এভাবে রেখে দিলেই তৈরি আপনার শরবত। বোতলে ভরে এই সরবৎকে রেখে দিন ফ্রিজে। দিন সাতেক ফ্রিজে রেখে এই শরবত খেতে পারবেন। সাত দিনের পর এর স্বাদ টক টক লাগতে পারে। তবে মনে রাখবেন, যখনই খাবেন, ভাল করে বোতলটিকে ঝাঁকিয়ে নিয়ে তবেই খাবেন। 


খাওয়ার নিয়মঃ  রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করে এই শরবত খাওয়া অভ্যাস করুন। দেখবেন, পেটের অনেক সমস্যা থেকে মাস খানেকের মধ্যেই মুক্তি পাবেন।.

SHARE THIS

Author:

Facebook Comment

0 comments: